Search This Blog

Wednesday, February 27, 2019

বাংলার ইতিকথা!

মোঃ মাহফুজ আহমেদ


বাংলার নবজাগরণ বলতে বোঝায় ব্রিটিশ রাজত্বেরসময় অবিভক্ত ভারতের বাংলা অঞ্চলে ঊনবিংশ ও বিংশ শতকে সমাজ সংস্কার আন্দোলনের জোয়ার ও বহু কৃতি মনীষীর আবির্ভাবকে। মূলত রাজা রামমোহন রায়ের (১৭৭৫-১৮৩৩) সময় এই নবজাগরণের শুরু এবং এর শেষ ধরা হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) সময়ে, যদিও এর পরেও বহু জ্ঞানীগুণী মানুষ এই সৃজনশীলতা ও শিক্ষাদীক্ষার জোয়ারের বিভিন্ন ধারার ধারক ও বাহক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন। ঊনবিংশ শতকের বাংলা ছিল সমাজ সংস্কার, ধর্মীয় দর্শনচিন্তা, সাহিত্য, সাংবাদিকতা, দেশপ্রেম, ও বিজ্ঞানের পথিকৃৎদের এক অন্যন্য সমাহার যা মধ্যযুগের অন্ত ঘটিয়ে এদেশে আধুনিক যুগের সূচনা করে।

পটভূমিকা সম্পাদনা
বাংলার নবজাগরণ অনেক আধুনিক পণ্ডিতের মতে উনিশ শতকের গোড়ার দিকে, আবার অনেকের মতে গোটা উনিশ শতক জুড়েই বাংলায় বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ চলে যাকে যথার্থই ইউরোপীয় ধারার নবজাগরণ বলা যায়। তাঁরা বিশ্বাস করেন, ব্রিটিশ শাসনের প্রভাবে বাংলার শিক্ষিত সম্প্রদায় জীবন ও বিশ্বাসের নানা বিষয়ে অনুসন্ধিৎসু হয়ে ওঠে এবং প্রশ্ন তুলতে শেখে। বলা হয়, এ নতুন দৃষ্টিভঙ্গি বাংলার সমসাময়িক জীবনধারাকে বস্তুতান্ত্রিকভাবে সবিশেষ প্রভাবিত করে। বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক আন্দোলন, নানা সংগঠন, সমাজ ও সমিতি গঠন, ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন, নতুন শৈলীর বাংলা সাহিত্যের আবির্ভাব, রাজনৈতিক চেতনা এবং আরও উদীয়মান অন্যান্য সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয় এক নবজাগরণরই ইতিবাচক লক্ষণ বলে যুক্তি দেখানো হয়। নবজাগরণ তত্ত্বের প্রবক্তাদের মতে, এসব বিষয়ের মূলে ছিল ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে নবার্জিত ইউরোপীয় জ্ঞান (বিশেষ করে, দর্শন, ইতিহাস, বিজ্ঞান ও সাহিত্য)। এ কথিত নবজাগরণ কেবলমাত্র বাংলার হিন্দু সমাজের উঁচু স্তরের সামান্য অংশকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাবিত করলেও শেষাবধি তা মুসলিম সমাজ (অনেকটাই অংশত) ও অন্যদের মাঝেও প্রসার লাভ করে। নবজাগরণ ছড়িয়ে যায় ঐ শতকের শেষপাদে উপমহাদেশের অন্যসব অংশেও।
সভা ও বহু সমিতিসম্পাদনা
নবজাগরণ ভাবাপন্ন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে রামমোহন রায় , এইচ.এল.ভি ডিরোজিও ও তাঁর বিপ্লবী শিষ্যবৃন্দ, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর অনুসারীগণ, অক্ষয়কুমার দত্ত , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর , মাইকেল মধুসূদন দত্ত , বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। রেসেসাঁর এ নিবেদিত মনীষীবর্গ যেসব পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় উজ্জীবিত হয়েছিলেন তা ছিল যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ, উপযোগবাদ, বিজ্ঞানবাদ, ব্যক্তিবাদ, দৃষ্টবাদ, ডারউইনবাদ, সমাজবাদ ও জাতীয়তাবাদ। পুনরুজ্জীবিত বাংলার চিন্তাবিদগণ ফ্রান্সিস বেকন (১৫৬১-১৬২৬), আইজ্যাক নিউটন(১৬৪২-১৭২৭), জেরেমি বেনথাম (১৭৪৮-১৮৩২), টমাস পেইন (১৭৩৭-১৮০৯), অগুস্ত কোঁত(১৭৯৮-১৮৫৭), চার্লস ডারউইন (১৮০৯-৮২) ও জন স্টুয়ার্ট মিল-এর (১৬০৬-৭৩) মতো পাশ্চাত্যের আরও অনেক আধুনিক চিন্তাবিদ ও মনীষীর গুণগ্রাহী ও অনুসারী হয়ে ওঠেন। এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল (প্রতিষ্ঠিত, ১৭৮৪), শ্রীরামপুরের ব্যাপটিস্ট মিশন (১৮০০), ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ (১৮০০), হিন্দু কলেজ (১৮১৭), ক্যালকাটা স্কুল-বুক সোসাইটি(১৮১৭), কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (১৮৩৫), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-এর (১৮৫৭) মতো প্রতিষ্ঠানগুলি বাংলার নবজাগরণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখে।
বাংলার নবজাগরণ দুই ধারায় প্রসার লাভ করে যথা, (১) ঐ সময়ে বহু সংখ্যক সংবাদপত্র ও সাময়িকী প্রকাশিত হয় এবং (২) বহু সমিতি, সংগঠন ও সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এগুলি পর্যায়ক্রমে নবজাগরণর দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন সংলাপ ও বিতর্কের মঞ্চ হিসেবে কাজ করে। তবে নবজাগরণের সবচেয়ে দর্শনীয় বহিঃপ্রকাশ ঘটে কতকগুলি সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এসব আন্দোলন ছিল ধর্মীয় ও সামাজিক। নবজাগরণর আরও বড় ধরনের প্রকাশ লক্ষ্য করা যায় যুক্তিভিত্তিক মুক্তচিন্তার সপক্ষে পরিচালিত ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলনের মাধ্যমে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের উন্মেষ, পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ধ্যান-ধারণার প্রসার ও বিভিন্নমুখী বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানানুসন্ধান এ সবই ছিল নবজাগরণর সুফল। বাংলার নবজাগরণ বা নবজাগরণের ফলে জাতীয়তাবাদ জাগ্রত হয় এবং পরবর্তী সময়ে এ জাতীয়তাবাদ দেশের পরাধীনতার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
রামমোহন রায় একাধারে সংস্কৃত, আরবি, ফার্সিভাষায় সুপণ্ডিত এবং পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ধর্মীয় গোঁড়ামির প্রতিবাদে তুহফাত-উল-মুওয়াহহিদিন [একেশ্বরবাদীদের উপহার] নামে এক যুক্তিবাদী পুস্তিকা (১৮০৩-০৪) প্রকাশ করেন। পরবর্তীসময়ে তিনি সেমেটিক একেশ্বরবাদের ধারায় উপযোগবাদের সাথে যুক্তিবাদ সংযুক্ত এবং সামাজিক অন্যায় ও বুদ্ধিবৃত্তিক কূপমণ্ডূকতা দূর করার লক্ষ্যে একটি কার্যক্রম গ্রহণ করেন। হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের সঙ্গে দীর্ঘ পনেরো বছরের (১৮১৫-৩০) এক বিতর্কে তিনি তাঁর ব্রাহ্ম একেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে বাহ্যত বহুঈশ্বরবাদ ও ত্রিত্ববাদকে পরাভূত করেন। তিনি সমাজিক বিচার, বিশেষ করে হিন্দু নারীমুক্তির জন্য সুদীর্ঘ শতাব্দীকালের সংগ্রামেরও সূচনা করেন। গভর্নর জেনারেল উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক এর ঔপনিবেশিক সরকার ১৮২৯ সালে স্বামীর সাথে হিন্দু নারীর সহমরণ তথা সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। রামমোহন রায় এ বিষয়ে সরকারের আইন পাসে সহায়তা করেন। রামমোহন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেন এবং পাশ্চাত্য শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে ধর্মনিরপেক্ষ ও বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা নীতি প্রবর্তনের সুপারিশ করেন।
যুক্তিবাদসম্পাদনা
ফলত ব্রাহ্ম সমাজ বলয় থেকে দত্তের বহিষ্পারের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যময় এ সংঘাতের অবসান ঘটে। অজ্ঞেয়বাদী হয়ে ওঠার পর অক্ষয়কুমার দত্তযুক্তিবাদ, বস্তুনিষ্ঠতা ও সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে ভারতীয় ধর্ম ও দর্শনের ইতিহাস বিশ্লেষণের প্রয়াস পান। উনিশ শতকের বাংলায় নবজাগৃতির অধিকারী বহু সুধীব্যক্তির জীবন ও কর্মে এ লক্ষণসমূহ ফুটে ওঠে। তবে বিদ্যাসাগর অজ্ঞেয়তাবাদী (একধরনের নাস্তিকও বলা যায়) থেকে যান এবং তাঁর সফল হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহ আন্দোলনের (১৮৫৫-৫৬) ফলে ১৮৫৬ সালে প্রণীত আইনের (যা হিন্দু বিধবাদের পুনর্বিবাহকে বৈধ করে) পরে তিনি ষাটের দশকে কুলীন ব্রাহ্মণদের বহুবিবাহের বিরুদ্ধে আরও একটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এ ক্ষেত্রে এবং স্ত্রীশিক্ষার প্রসারেও তাঁর প্রচেষ্টার সাফল্য শুধু উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল মহল দ্বারাই বিঘ্নিত হয় নি, বরং এর পেছনে আরও কাজ করেছে ঔপনিবেশিক সরকারের সহযোগিতা না করার দৃষ্টিভঙ্গি। ডিরোজিও ও তাঁর অনুসারিগণ এবং অক্ষয় কুমার ও বিদ্যাসাগর সকলে মিলে যে সংশয়বাদী-অজ্ঞেয়তাবাদী-নাস্তিক্যবাদী ঐতিহ্য গড়ে তুলেছিলেন, তার পরিণত রূপ দেন প্রত্যক্ষবাদী নাস্তিক কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য(১৮৪০-১৯৩২)। ইতিহাসের পটভূমিকায় বিচার করলে এ ঘটনাপ্রবাহের তাৎপর্য অনেক। কারণ, খ্রীষ্টীয় সপ্তম শতকের নাস্তিক চিন্তাবিদ জয়রাশি ভট্টের সুদীর্ঘকাল পরে এই প্রতিবাদীরাই প্রথমবারের মতো ভারতীয় বস্তুবাদের ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলেন।
বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমার দুজনে মিলে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের পণ্ডিতবর্গ, শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট চার্চের কোন কোন মিশনারি এবং রামমোহন রায় ও তাঁর বিরোধীদের গড়া ভিত্তির ওপর আধুনিক বাংলা গদ্যের সৌধ গড়ে তোলেন। তারপর সেই গদ্য প্যারীচাঁদ মিত্র , বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখের রচনার মধ্য দিয়ে নানা আকারে বিকশিত ও সমৃদ্ধ হয়। কাব্য ও নাটকে প্রতিমা-পূজা বিরোধী এবং ভাবের দিক থেকে ডিরোজিওপন্থী মাইকেল মধুসূদন দত্ত রীতি ভেঙে অমিত্রাক্ষর ছন্দ, চতুর্দশপদী বা সনেট, ব্যক্তিবাদ, জড়পার্থিবতা, দেশপ্রেমিকতা, নারীচরিত্রের প্রাধান্য ও নাটকে তীক্ষ্ম, তীব্র সংঘাতের উপাদানের প্রবর্তন করেন। তাঁর রীতির অনুসরণে অচিরেই বহু নাট্যকার ও অপেক্ষাকৃত নিম্ন মানের কবির আবির্ভাব ঘটে। সাহিত্য পরিমণ্ডলের কথা ছেড়ে দিলেও বিজ্ঞান, ইতিহাস ও দর্শনের ক্ষেত্রে খ্যাতি অর্জন করেন মধুসূদন গুপ্ত,মহেন্দ্রলাল সরকার,জগদীশ চন্দ্র বসু , প্রফুল্লচন্দ্র রায় , রাজেন্দ্রলাল মিত্র , রমেশচন্দ্র দত্ত , দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য। মধুসূদন গুপ্ত ছিলেন প্রথম হিন্দু যিনি শবব্যবচ্ছেদ করেন। ভাই গিরিশচন্দ্র সেন ইসলামি বিষয়ে জ্ঞানচর্চায় নিয়োজিত হন। তিনি ইসলামি ঐতিহ্যের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে বহু সংখ্যক গ্রন্থ ও জীবনী রচনা করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর সবচেয়ে গৌরবময় জীবনকর্ম হলো পবিত্র কুরআনের সটীক বাংলা অনুবাদ (১৮৮৬)। বাংলা ভাষায় এ ধরনের কাজ তিনিই প্রথম করেন। নবজাগরণর আরেক বৈশিষ্ট্যময় চরিত্র হলেন অক্ষয়কুমার দত্ত। ফরাসি বুদ্ধিবৃত্তিক নবজাগরণ যুগের দার্শনিকদের মতো বাংলার নবজাগরণয় তিনি ও অন্যান্য বিদ্বৎজন ছিলেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শৌখিন অনুসন্ধানী, ঠিক জ্ঞানের কোন সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে একান্তভাবে নিবেদিত বিশারদ নন। তাঁরা বস্তুত জ্ঞানচর্চার নানা ক্ষেত্রে এভাবেই কাজ করেন। রাজেন্দ্রলাল মিত্রের বিবিধার্থসংগ্রহ (১৮৫০-এর দশক) ও রহস্যসন্দর্ভ (১৮৬০-এর দশক) এবং বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শন (১৮৭০-এর দশক) আর সেই সাথে এ ধরনের আরও অনেক কাজ উল্লিখিত অভিমত বা পর্যবেক্ষণেরই সাক্ষ্য।
প্রকৃতপক্ষে বাংলার নবজাগরণ যুগের স্থিতিকাল ছিল উনিশ শতকের প্রথম ছয় দশক। এ কালপরিক্রমায় মূল চালিকাশক্তি বা প্রেরণা হিসেবে কাজ করে যুক্তিবাদ আর এর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সংস্কার। সংস্কারকদের সাধারণ লক্ষ্য ছিল হিন্দুত্বের কতকগুলি বিষয়। নবজাগরণর শেষ চার দশক জুড়ে প্রাধান্য ছিল জাতীয়তাবাদের, উদ্দেশ্য ছিল পুনর্জাগরণ সৃষ্টি করা এবং নির্ধারিত বিপক্ষ ছিল কায়েমি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষ। যুক্তিবাদীরা তখন থেকে পরাধীনতা ও আধিপত্যের বিষয়টির প্রতি নীরব থাকতে পারেন নি। কালো আইন পাস (আদালতের ভারতীয় বিচারকগণ মামলায় শ্বেতাঙ্গ বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করতে পারতেন না, এ বৈষম্যমূলক রীতি অবসানের জন্য ঐ সময়ে এক আইনের প্রস্তাব করা হয়) সংক্রান্ত বিতর্ক, সিপাহি বিপ্লব (১৮৫৭-৫৮) ও নীলবিদ্রোহের (১৮৫৯-৬০) মতো ঘটনাপ্রবাহ চিন্তাশীল বাঙালি মানসকে জাতীয়তাবাদী পথে পরিচালিত হতে উদ্বুদ্ধ করে। ষাটের দশকে এ ধরনের চিন্তাধারায় যাঁরা প্রথম আকৃষ্ট হন তাঁদের মধ্যে ছিলেন নবগোপাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর পুত্রকন্যাগণের মতো ব্রাহ্ম সমাজের কিছু লোক, যাঁরা হিন্দু মেলা (১৮৬৭-৮১) ও ‘হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব’ (১৮৭২) শীর্ষক আলোচনাসভার মাধ্যমে হিন্দু জাতীয়তাবাদের সূচনা করেন। তাঁদের এ প্রয়াসের ফলে নব্যহিন্দুত্ববাদ নামে পরিচিত এক বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল চিরায়ত হিন্দু রচনাগুলির পুনঃসমালোচনাধর্মী পর্যালোচনা-মূল্যায়ন এবং সেই সাথে ইউরোপীয় বিজ্ঞানের উপলব্ধির মাধ্যমে হিন্দুধর্মের পুনরুজ্জীবন। এ নব্য হিন্দুত্ববাদের প্রবক্তারা হলেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ ও ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়। ব্রাহ্ম ও খ্রিষ্টান একেশ্বরবাদকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নব্য হিন্দুত্ববাদী তাত্ত্বিকেরা সর্বেশ্বরবাদী যুক্তির অবতারণা করে হিন্দুধর্মের সামাজিক সংস্কারবাদ প্রত্যাখ্যান করেন আর তার পরিবর্তে তাঁরা শিক্ষা, সমাজ সেবা, আর্থ-রাজনৈতিক তৎপরতা ও সেই সাথে নানারকমের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে আত্মনিয়োগের মাধ্যমে হিন্দুধর্মের সনাতন ও মৌলিক ধ্যান-ধারণা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন তথা বিকাশের আদর্শ সমর্থনে এগিয়ে আসেন। তাঁরা সাধারণভাবে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্বাধীনতার ধারণায় উৎসাহ জোগান এবং মাতৃভূমিকে মাতৃদেবীরূপে কল্পনা করেন। এই হিন্দু জাতীয়তাবাদ পরবর্তীকালে অধিকতর যুক্তিবাদী ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জন্য পথ ছেড়ে দেয়। আর এই ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদ তার আকার নেয় ইন্ডিয়া লীগ (১৮৫৭), ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন(১৮৭৬), ন্যাশনাল কনফারেন্স (১৮৮৩) ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-এর(১৮৮৫) মাধ্যমে।
নব্যহিন্দু ও জাতীয়তাবাদী আবেগের অস্তিত্ব সত্ত্বেও নবজাগরণর মূল প্রেরণা বিলুপ্ত হয় নি। বরং এ প্রেরণা নতুন এক ভিত্তিভূমি লাভ করে মুসলিম আর্থ-সামাজিক সমস্যার বিষয়ে যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ, ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার দেলোয়ার হোসায়েন , সামাজিক বিষয়ের সমালোচক মীর মোশাররফ হোসেন এবং লেখক, শিক্ষাবিদ ও মুসলিম নারীমুক্তির জন্য সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন-এর মতো মুসলিম পথিকৃৎ মনীষীদের মাঝে। এ শতকের শেষ নাগাদ এই পুনরুজ্জীবিত চেতনার প্রেরণা উপমহাদেশের আরও বহুস্থানে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
বহু আধুনিক কালোত্তর বিদ্বৎজনের মতে বাংলার প্রেক্ষাপটে ‘নবজাগরণ’ এ পারিভাষিক শব্দটির প্রয়োগ যথার্থ হয় নি। এর সমর্থনে তাঁরা যুক্তি দেখান যে, এর উদ্ভব ঘটে তৎকালীন ঔপনিবেশিক সরকারের প্রশাসনিক ও শিক্ষা সম্পর্কিত কিছু উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে। সকল ব্যবস্থা অত্যন্ত সচেতন ও পরিকল্পিতভাবেই নেওয়া হয় যাতে এক বিশেষ সমাজ গড়ে ওঠে, যা ঐ উনিশ শতকেই লক্ষ্য করা গেছে। অবশ্য এ শ্রেণীর আকার-আয়তন ছিল খুবই ছোট আর তা ছিল শহুরে উঁচুতলার হিন্দুদের মাঝেই সীমিত। এ শ্রেণীর চিন্তা-ভাবনা ও কার্যকলাপ বাংলার বৃহত্তর জনসমাজে তেমন প্রভাব ফেলতে পারে নি, এমনকি বলতে গেলে কোন প্রভাবই পড়ে নি। মুসলিম সমাজ এর প্রভাব থেকে পুরোপুরি বাইরেই থেকে যায়। আর পল্লীজনপদের হিন্দু সমাজের ক্ষেত্রেও সেই একই কথা বলা চলে।
ইউরোপের নবজাগরণের থেকে পার্থক্যসম্পাদনা
নবজাগরণ শব্দটি পশ্চিমের ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত;- কার্যত ঐতিহাসিকরা শব্দটি ধার করে এদেশের একটি বিশেষ কালপর্বের বর্ণনায় ব্যবহার করেছেন। বস্তুত: ইয়োরোপের ক্ষেত্রে নবজাগরণ শব্দটি ব্যবহৃত হয় না, ব্যবহৃত হয় রেনেসাঁ বা পুনর্জাগরণ শব্দটি। অর্থাৎ ইয়োরোপের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে জাগরণের পর এসেছে অন্ধকার যুগ, তারপর এসেছে রেনেসাঁ বা পুনর্জাগরণ, ভারতের ক্ষেত্রে এই ক্রম প্রযোজ্য নয়। ভারতের ক্ষেত্রে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে যে জ্ঞানালোকিত মণীষার উন্মেষ প্রত্যক্ষ হয় তাই ইয়োরোপীয় রেনেসাঁর তূল্যমূল্যে বিবেচিত হয়েছে।

মফিজ মানে গরিবের বন্ধু।

মোঃ মাহফুজ আহমেদ
জেনে নিন উত্তরবঙ্গের মানুষকে মফিজ বলা হয় কেন ?
গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত অত্যন্ত সৎ ড্রাইভার ছিলেন মফিজ। তাঁর শেষ জীবনের সঞ্চয় এবং বাবার দেয়া সামান্য জমি বিক্রয় করে ঢাকা রুটের একটা পুরাতন বাস ক্রয় করে ঢাকা- গাইবান্ধা রুটে বাসটি চালু করলেন। গরীব দরদী মফিজ সাহেব দিনমজুর লোকদের স্বল্প ভাড়ায় ঢাকা নিয়ে যেতেন।

এক সময় বয়সের ভারে মফিজ সাহেব অন্য ড্রাইভার দিয়ে বাস চালনো শুরু করলেন। কিন্তু দিনমজুর শ্রেনীর লোকেরা ভাড়া সাশ্রয়ের জন্য তাঁর বাড়িতে ধর্না দেয়া শুরু করলো। তাদের উপকারের জন্য সাদা কাগজে মফিজ লিখে সুপারভাইজারকে দিতে বলতেন এবং বাসের ছাদে নামমাত্র ভাড়ায় ঢাকা যাতায়াতের সুবিধা করে দেয়ার ব্যবস্হা করতেন। বাসের সুপারভাইজার মফিজ স্বাক্ষরযুক্ত কাগজ সংগ্রহ করে কম ভাড়া আদায় করতেন।

তাই বাসের ছাদে উচ্চস্বরে সুপার ভাইজার বলতেন কয়জন মফিজ আছো ছাদে? অথাৎ কয়টা মফিজের স্লিপ আছে? আর এ ভাবে গরীবের উপকারী বন্ধু মফিজ শব্দটি চালু হয়। আজ আমরা ঠাট্রাকরে অনেকে ‘মফিজ’ শব্দটি উচ্চারণ করি। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলেন ‘মফিজ’ হওয়ার যোগ্যতা কি আপনার আমার আছে??? . এখন আসুন মুল কথায়ঃ ব্যাকডেটেট পিছিয়ে থাকা জনগন ভাইভা বোর্ডে নব্বই ডিগ্রী এ্যাংগেলে ভ্রু-কুঁচকে বলা হয়,”ও…!

তোমার বাড়ি উত্তর- বঙ্গে। “তারপর রেজাল্ট যা হবার তাই হয়। একটা কমন চিত্র। ব্যাপারটা কি সত্যি এরকম? আসলেই কি এরা ব্যাকডেটেট? যাদের মানসিকতা এমন তারা কি আপডেটেড? আজকের প্রভাবশালি জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হক কোথাকার? সৈয়দ শামসুল হক কোথাকার? কবি শেখ ফজলল করিম কোথাকার ছিলেন? ফকির মজনু শাহ? আব্বাস উদ্দীন? তেভাগা আন্দোলনের সফল নায়ক হাজী দানেশের বাড়ি কোন বঙ্গে ছিল? প্রফুল্ল চক্রবর্তী আর ক্ষুদিরাম বসু জানেন কোথাকার ছিল? . যে মেয়ে ম্যাডামটা আজকে ভাইভাতে বসে উত্তরবঙ্গকে ব্যাকডেটেট বলে,সে হয়তো ভুলে গেছে মেয়ে মানুষদের পড়াশুনার ইতিহাস? উত্তরবঙ্গের বেগম রোকেয়া না থাকলে আজ কি হতো? তানিয়া আমিররা আইনজীবী হতে পারতো না বিমানের পাইলট হতে পারতো না কানিজ ফাতেমারা ওয়াসফিয়ার হিমালয় জয় করা লাগতনা।

চুলায় আগুন দিতে দিতে জীবন শেষ করতে হতো। মৌর্য সেনদের রাজধানী কোথায় ছিল? ঢাকা তো দু- চার’শ বছর আগে রাজধানী হল। ঢাকা অনেক জুনিয়র সিনিয়র রাজধানী তো মহাস্থানগড়!! . নয় বছর দেশ চালানো এরশাদ সাহেব কোথাকার? শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কোন বঙ্গের? বগুড়ার ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জন্ম দিনাজপুর | দেশের সংকট সময়ে সাহসী সেনাবাহিনীর প্রধানরা কোন বঙ্গের ছিল? বিখ্যাত সাংবাদিক থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাওয়া মশিউর রহমান যাকে আমরা জাদু মিয়া নামে চিনি তার বাড়িটাও উত্তরবঙ্গের রংপুরে। কিংকর্তব্যবিমূঢ!! বাংলাদেশের বিপদকালীন সময়ে হাল ধরা রাষ্ট্রপতিরা আর সেনাপ্রধানরা কোন বঙ্গের? একবার বাংলা একাডেমিতে আঞ্চলিক বিতর্ক হচ্ছে| এই বিতর্ক নিজের অঞ্চলের ভাষায় করতে হয়।

একটু মজাও করতে হয়। রংপুরের পক্ষে বিতর্কের যে অংশটুকু চ্যানেল আই-এ দেখানো হল সেটি ছিল সংক্ষেপে এরকম “হামার দ্যাশের জনক বঙ্গবন্ধুর ছাওয়া শেখ হাসিনা। বিয়ার জন্যে পাত্র খুজিবার নাগচে। কোনোটে ভালো পাত্র পায় নাই। শ্যাষে সবারচাইতে ভালো পাত্র কোটে পাইচে কন তো বাহে? হামারঅমপুরে!!” . বাদ দেন সারা দেশে শতসহস্র ছেলে থাকতে বঙ্গবন্ধু ওনার মেয়েকে উত্তরবঙ্গের ছেলের সাথে বিয়ে দিল কেন? কারন বঙ্গবন্ধু জানতেন ওয়াজেদ জিনিয়াস, হু ইজ রিয়েলি স্মার্ট!!” দেশ চালায় কোন বঙ্গের মানুষ? কোন বঙ্গের পুত্রবধু? সাবধান|

মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতীয় চার নেতার এক নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর , জেনারেল জ়ে.এন.চৌধুরী (সাবেক ভারতীয় সেনাপ্রধান),সাবেক বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল(অবঃ) এ.কে. খন্দকার, স্যামসন এইচ চৌধুরী। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঔষধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি: এর প্রতিষ্ঠাতা।সঙ্গীতশিল্পী তপন মাহমুদ, বাপ্পী লাহিড়ী,ডলি সায়ন্ত্বনী, বাদশা বুলবুল ,খ্যাতিমান উপস্থাপক ফজলে লোহানী,বাংলা গদ্যরীতির সার্থক রূপকার সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী ,কবি বন্দে আলী মিয়া, জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সুচিত্রা সেন,টিভি ব্যক্তিত্ব চঞ্চল চৌধুরি, জাহিদ হাসান, তৌকির আহমেদ, নায়ক আলি রাজ, বৃন্দাবন দাস সহ অনেকে।  স্বপ্নাতুর কবি সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ডক্তর আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন, মাওলানা খোন্দকার আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী , রজনী কান্ত সেন, ফতেহ লোহানী, কন্ঠ শিল্পি কনকচাঁপা, মুসা ইব্রাহীম একজন বাংলাদেশী পর্বতারোহী এবংসাংবাদিক, যিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন। সাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়মুহাম্মদ নাসিম এরা সকলেই উত্তরবঙ্গের সন্তান ।



ভুলে যাবেননা সামনে সজীব ওয়াজেদ জয় একজন রংপুর  সন্তান। হাসের মত প্যাকপ্যাক করে ভাইভা বোর্ডে উত্তরবঙ্গের মফিজ বলে সবাইকে তাড়িয়ে দিলে প্রেসিডেন্ট জিয়া, জেনারেল এরশাদ, খালেদা জিয়া, আনিসুল হক দের পেত না এই বাংলাদেশ। ভারত সহ বিশ্বে ১৫০ টির বেশি দেশে পন্য রপ্তানি করে সারা বিশ্বে দেশের সুনাম আনছে প্রান আর এফ এল গ্রুপ,দু:খিত ভাই এটাও উত্তরবঙ্গের,সারাবিশ্বে ফ্যাশন দুনিয়ার রানি বলে সমাদৃত বিবি রাসেল,এই মানুষ টার বাড়ি রংপুর।

অশংখ্য রহিমুদ্দি, করিমুদ্দি ভরসা কিংবা আমজাদ খান চৌধুরি পুরা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। মেধার অভাব উত্তরবঙ্গে নেই কিছু কিছু চেয়ারে বসা বিচারকের “সুস্থ মানষিকতার” অভাব আছে। . কথিত মহান ব্যাক্তিরা উত্তর-বঙ্গ বলে যখন কাউকে পাঠিয়ে দিলেন তারা হয়তো তখন  ভাসানী, ক্যাপ্টেন মনসুর একজন আনিসুল হক কে কিংবা ভবিষ্যত কোন রাষ্ট্রপতিকে হারিয়ে ফেললেন। সাথে সাথে এক ধাপ পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। আমি একটা কথা সবসময় বলি, ”মনে রাখবেন রাষ্ট্র শাসনের নবাবীত্ব উত্তরবঙ্গ থেকেই এসেছে।তাই উত্তরবঙ্গের মানুষকে মফিজ বলার আগে এই কথাগুলো একবার ভেবে দেখবেন।

সংক

Friday, February 22, 2019

এন্টিবায়োটিক খেলে ফুল ডোজ খাবেন, ব্যাক্টেরিয়া রেজিস্ট্যান্ট হলে মৃত্যু। কালচার এন্ড সেন্সিটিভিটি টেস্ট করুন।

               ডা. রাজীব হোসাইন সরকার

আজ আপনাদের একটা  ভয়ংকর কথা বলব। যে লেখাটা লিখতে বসেও আমি ভয় পাচ্ছি। আমার হাত কাঁপছে। একজন ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়া তথাকথিত সেলিব্রেটি, গল্পলেখক মানুষের বাইরে আমি একজন ডাক্তার। আমার ডাক্তারি চোখে আমি যা দেখছি, নন-ডাক্তার অনেকেই হয়তো সেটা দেখতে পাচ্ছেন না। কারণ যা আমাদের মস্তিষ্কে নেই, তা আমরা কখনোই দেখতে পাই না। এই দৃশ্য শুধু একজন ডাক্তারই দেখতে পায়।
স্ট্যাটাসের ছবিটা হচ্ছে পৃথিবী থেকে মানবজাতি বিলুপ্তির সত্যয়িত সনদপত্র। এই সনদ দিয়েছে বাংলাদেশের শিশুদের চিকিৎসার সর্ববৃহৎ মেডিকেল মহীরুহ, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল । ছবিতে আপনি নিতান্তই কিছু বর্ণ আর শব্দ দেখতে পাচ্ছেন। আমি সেটাকে বর্ণনা করবার পর আপনি বুঝে ফেলবেন-আপনি আর মাত্র কয়েকদিন পৃথিবীতে আছেন। মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে পুরো মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আপনার সাথে আপনার বাবা মা, সন্তান সবাই অতীত হয়ে যাবে। মিলিয়ন বছরের মানবজাতি পৌছেছে সিঁড়ির শেষ ধাপটাতে। আর কোন ধাপ নেই। চাইলেও একধাপ একধাপ করে আর নামার পথ নেই। এখন পড়ে যেতে হবে। মানবজাতিকে হারিয়ে যেতে হবে মহাকালের চোরাস্রোতে।

ছবির রিপোর্টটিকে বলা হয়- কালচার এন্ড সেন্সিটিভিটি টেস্ট। যখন কোন রোগ সনাক্ত করবার পরেও ঔষুধে ভালো হয় না, তখন আমরা ব্যাকটেরিয়াসমৃদ্ধ ব্লাড, পুঁজ বা ইউরিনকে ল্যাবরেটরিতে পাঠাই। উদ্দেশ্য হল- কেন অতি সাধারণ একটা অসুখও ঔষুধ দিয়েও রোগ ভালো হচ্ছে না। ল্যাবে মাইক্রোবায়োলজিস্টরা সেই ব্লাড, ইউরিন বা পুঁজকে কয়েকদিন চাষ করেন। সেখানকার ব্যাকটেরিয়াদের উপর বিভিন্ন প্রকার এন্টিবায়োটিক দিয়ে দেখেন, সেই এন্টিবায়টিক ব্যাকটেরিয়াগুলোক মেরে ফেলতে সক্ষম কী না!
যদি মারতে পারে তখন সেই এন্টিবায়োটিকের পাশে লেখা হয়- S (S for Sensitive). সেন্সিটিভ শব্দের অর্থঃ ঐ এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম। যদি না পারে তখন আমরা লিখি- R (R for Resistant). অর্থঃ এখন আর এই এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম নয়। আগে কাজ করলেও ব্যাকটেরিয়া নিজেকে বদলে ফেলেছে। ফলে একই অস্ত্র (এন্টিবায়টিক) দিয়ে ব্যাকটেরিয়াটিকে মেরে ফেলা যাচ্ছে না।

এতে কী দাঁড়ায়?
অতি সাধারণ রোগও আর এন্টিবায়োটিক দিয়ে সারবে না। রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি এখন ইচ্ছেমত বাচ্চাকাচ্চা দিতে পারবে। আপনার শরীরে রোগ সৃষ্টি করে বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকবে। আপনি আমি শুধু দেখব দর্শক হয়ে দেখব। এরপর সব সাঙ্গ হবে। একদিন সেই ছোট্ট অসুখটা নিয়েই মানুষটা মারা যাবে।

উপরের ছবিতে দেখুন- রোগীর লিঙ্গ ছেলে। বয়স শুনলে চমকে যাবেন। বয়স মাত্র ৪ বছর। অথচ সব এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। অর্থাৎ ছেলেটা নিরীহ একটা রোগ নিয়ে এসেছে। ঔষুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগ সারছে না। এখন কী ঘটবে?
আমরা তাকে আর বাঁচাতে পারব না। ছেলেটা নিশ্চিত মারা যাবে। অথচ আমাদের হাতে শতশত এন্টিবায়োটিক। আমরা চাইলেও প্রয়োগ করে আর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মারতে পারব না। কারণ ব্যাকটেরিয়া নিজের ডিএনএ-কে নিজেনিজেই পরিবর্তন করে ফেলেছে। ফলে সামান্য ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য আমাদের হাতে আর কিছু নেই। বাচ্চাটির বাবা মা চেয়েচেয়ে দেখছে ছেলেটার অকাল মৃত্যু। অথচ তার বয়স মাত্র ৪ বছর। এত অল্পবয়সে নিশ্চয় সে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়।
দায়ী কারা?
আমরা।
আমাদের সামান্য জ্বর হয়। ফার্মেসীতে গিয়ে দুটো জিম্যাক্স (অ্যাজিথ্রোমাইসিন) খেয়ে ফেলি। একশ ব্যাকটেরিয়াকে মারার জন্য যদি সাত দিনের ডোজ লাগত, আমরা দুইদিন পর ভালো হলে আর ডোজটা পুর্ণ করি না। ৭০ টা ব্যাকটেরিয়া মরলেও বেঁচে থাকা বাকী ৩০ টি ব্যাকটেরিয়া জি-ম্যাক্সকে চিনে ফেলে। ফলে তারা নিজেদের গঠন দ্রুত বদলে ফেলে। তখন আর জি-ম্যাক্স দিয়েও পরেরবার আমরা রোগ সারাতে পারব না। কারণ জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে সব ধরণের স্থায়ী ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে ফেলেছে।
এখন এই ব্যাকটেরিয়াওয়ালা মানুষটি যদি আমাদের সামনে আসে, বসে, তার নিশ্বাস-হাঁচি- স্পর্শে আমাদের শরীরে জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি আমাদের শরীরেও চলে আসে। ফলে কী দাঁড়াল?
কেউ একজন নিজের শরীরে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিলে। আর আমরা কোনোদিন জি-ম্যাক্স না খেয়েও জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া দিয়ে নিজেদের শরীর ভরিয়ে ফেললাম। এইভাবে জি-ম্যাক্স রেজিস্টেন্ট ব্যাকটেরিয়া লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষের দেহে সঞ্চারিত হবে। একটা নবজাতক যে কীনা গতকাল জন্মাল সেও আপনার ভুলের কারণে একটা রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াকে নিজের শরীরে ধারণ করল। আপনি যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির বাসিন্দা, সে মেসে থাকেন সেই মেসের বোর্ডার, যে নদীতে পা চুবাবেন সেই নদীর অনুকূলের বাসিন্দারাও হয়ে গেল জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার অভয়ারন্য সম্পন্ন শরীরের মানুষ।

শুধু জি-ম্যাক্স কেন?
আমাদের কেউকেউ অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্য এন্টিবায়োটিক খাবে। আরেকটি ঔষুধের রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তৈরি করবে। সে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া ভাগাভাগি করবে সারাদেশের মানুষের সাথে। যেখানেইযাবে, যেখানটায় স্পর্শ করবে, সেখানেই হাচি দিবে, যেখানেই বসবে, যেখানেই খাবে সেখানেই ছড়িয়ে দিবে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া। এভাবে একটা একটা করে সব ব্যাকটেরিয়া আরেকটি ব্যাকটেরিয়ার কাছ থেকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট শিখে ফেলবে। ফলে সবার কাছ থেকে একটা একটা করে ধার করেও আমাদের দেহের ব্যাকটেরিয়াগুলো হয়ে যাবে সকল এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্ট। তাকে এখন যে ঔষুধই দিন না কেন, কাজ করবে না। ফলে আপনি ঔষুধের ডিসপেনসারিতে কোটিকোটি টাকার ঔষুধ রেখেও বিনাচিকিৎসায় মারা যাবেন।

ছবির ছেলেটার মত আমার মোবাইলে প্রায় ৩০০ টি মানুষের রিপোর্ট আছে। আমি দীর্ঘ এক বছর থেকে বিভিন্ন ডাক্তারের পোস্ট থেকে রিপোর্টগুলো ডাউনলোড করে সঞ্চয় করছি। যারা সব ধরণের ব্যাকটেরিয়ায় রেজিস্ট্যান্ট। তারা যত ধনীই হোক, দুনিয়ার যে দেশেই চিকিৎসা করাক, সে ঈশ্বরের কাছেই নিজেকে সমর্পণ করুক, সে আর ফিরবে না। তার মৃত্যু অনিবার্য!

ভয়ের কথাটা তাহলে কোথায়?
আপনার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে কালচারে পাঠান। দেখুন আপনি নিজেও অলরেডি অর্ধেক এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্টওয়ালা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে বেঁচে আছেন।

আরো ভয়ের কথা কোথায় জানেন?

যে ৩০০ জন মানুষ রেজিস্ট্যান্ট, তাদের ঘরের বাবা-মা সন্তান বন্ধুবান্ধবের অনেকেই অলরেডি রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে। কেউ অতি উৎসাহী হয়ে নিজের রক্ত কালচারের জন্য যেদিন হাসপাতালে আসবে সেদিনই তারা ধরে ফেলবে নিজের অজান্তেই এইডসের চাইতেও ভয়ানক একটি ব্যাপার নিয়ে সে এতদিন বেঁচে ছিল। আজ থেকে তার মৃত্যুর কাউন্ট ডাউন শুরু।
কেন এইডসের চাইতে ভয়ানক বললাম?

আপনি একজন এইডস আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেট করলেই সে এইডস ছড়াতে পারবে না। কিন্তু একজন রেজিস্ট্যান্ট লোককে আপনি কীভাবে আইসোলেট করবেন? ব্যাকটেরিয়া শুধু হাঁচিতে ছড়ায় না। প্রস্রাবে ছড়ায়-পায়খানায় ছড়ায়, স্পর্শের ছড়ায়। তারা পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারা মাটিতে থাকে। বাসের সিটে থাকে। রেস্টুরেন্টের গ্লাসে থাকে। ক্লাশের চেয়ারে থাকে। বন্ধুর কলমে থাকে, প্রেমিকের মোবাইলফোনের গায়ে লেগে থাকে, প্রেমিকার ঠোঁটে থাকে। তারা বাতাসে ভেসে থাকে। মাটিতে পড়ে থাকে। মাটির নিচে কলোনি করে থাকে। আপনি কোথায় গিয়ে বাঁচবেন?

আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়া যে হারে রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছে, সেই হারে এন্টিবায়োটিক তৈরি হচ্ছে না। আমাদের জীবনরক্ষাকারী প্রথম এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয় ১৯৪০ সালে। সবচেয়ে ক্ষমতাধর এন্টিবায়োটিক মেরোপেনেম প্যাটেন্টেড হয়  ১৯৮৩ সালে। এর মাঝামাঝি সময়টায় আমরা মৎস্যবহুল নদীতে মাছ শিকারের মত হাজার হাজার এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করে ফেলেছি। কিন্তু ৮৩ এর পর, মেরোপেনেমের মত আর কোন শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক পৃথিবীতে আসেনি।

অথচ ছবিতে দেখুন- ৪ বছরের বাচ্চা ছেলেটির ব্যাকটেরিয়াটি সব ধরণের এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। মেরোপেনেম সহ (Imipenem)। বাচ্চাটি বেঁচে আছে নাকি অলরেডি মারা গেছে আমার জানা নেই। কিন্তু সে আপনাদের দোষে পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছে। সে কী আমাদের ছেড়ে দিবে? তার শরীর থেকে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া অবশ্যই অনেকের শরীরে (তার বাবা মা-সহ) ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। দায়মুক্তি আমাদের হবে। পুরো মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবার পর আমাদের দায়মুক্তি ঘটবে।

প্রায়ই বিজ্ঞানীরা বলেন- পৃথিবী চলে আবে ভীনগ্রহীদের হাতে। এলিয়েনরা পরবর্তী রাজত্ব করবে। বিলিভ মি- এলিয়েন আসার নিশ্চয়তা না থাকলেও এই পৃথিবীর পরবর্তী বাসিন্দা হবে নিতান্তই সাধাসিধে ব্যাকটেরিয়া। লক্ষ লক্ষ বছর সে আমাদের দেহে নিরীহ বসে ছিল। আমরাই তাকে শিখিয়ে ফেলেছি কীভাবে আমাদের দেহে বসেই আমাদের হত্যা করা যায়। আমরা কখনো শিম্পাঞ্জি, কখনো ডোলফিন, কখনো হাতিঘোড়া কুকুরকে বলি মানুষের সমপর্যায়ের বুদ্ধিমান। আমরা কখনো বলি না, আমাদের চাইতে কে বেশি বুদ্ধিমান! ব্যাকটেরিয়া মাইক্রোস্কোপিক হয়েও হাত পা না থাকা স্বত্বেও, মস্তিষ্ক না পেয়েই শিখে ফেলল কীভাবে মানুষদের হত্যা করতে হয়! ভাবুন- কে বেশি বুদ্ধিমান?

বাঁচার উপায়?


শুনতে আপনার খুব খারাপ লাগবে কিন্তু আমাকে বলতেই হবে। আজ এই মুহুর্তে, এই মিনিটটা শেষ হবার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে না গিয়েই অফিশিয়াল মিটিং না ডেকেই বলতে হবে- এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্টেন্সির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দেশের প্রত্যেকটা দোকান-ফার্মেসী-প্রেসক্রিপশন গোয়েন্দা দিয়ে খুঁজে বের করে নতুন করে এক পৃথিবী শুরু করতে হবে। প্রত্যেকটা এন্টিবায়োটিকের গায়ে সাটিয়ে দিতে হবে মোবাইলের মতো IMEI নাম্বার। কোন কোম্পানি বাজারে কয়টা ছেড়েছে, কোন ডাক্তার কয়টা প্রেসক্রিপশন করেছে, কোন রোগী কয়টা খেয়েছে সব হিশেব বের করতে হবে। না পারলেও আগামীকাল থেকে কীভাবে এন্টিবায়োটিক বিক্রি হবে, কীভাবে প্রেসক্রিপশন হবে, কীভাবে রোগী খাবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে। যক্ষা নির্মুলের জন্য আমরা DOT প্রোগ্রাম শুরু করেছিলাম। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর্মী যক্ষা রোগীর বাসায় যাবে। রোগীকে ঔষুধ দিবে। রোগী সেটা স্বাস্থ্যকর্মীর সামনেই খাবে। এন্টিবায়োটিক খাওয়া DOT এর আন্ডারে আনতে হবে। অন্য কোন উপায় নেই।

খুব বেশি নিজেদের বাঁচাতে চাইলে, ফর গ্রেটার গুড... ধর্ষকদের মতোই বিচারবহির্ভূত ক্রসফায়ার চালু করতে হবে, যে লোকটি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষুধ বিক্রি করবে, যে ফার্মেসীম্যান মহাজ্ঞানী জাহির করে আপনাকে এন্টিবায়টিক বদলে দিবে, নতুন ডোজ বাতিয়ে দিবে, যে রোগীটি অসম্পূর্ণ ডোজ এন্টিবায়োটিক খাবে তাকেও ক্রসফায়ারের আওতায় আনতে হবে। কারণ অসুস্থ রোগীটিই অসম্পুর্ণ ডোজ খেয়ে আরেকটি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিচ্ছে। নিজের মৃত্যুর সাথে পুরো মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করবার কাজটি সেও করছে।  এককোটি অজ্ঞ, ঘাড়ত্যাড়া এন্টিবায়োটিক ইউজারের বিনিময়ে হলেও বাকী ১৯ কোটি লোককে বাঁচাতে হবে।
সমস্ত আইনশৃংখলা বাহিনী সমস্ত চোর ডাকাত-ধর্ষক সব ছেড়ে পথে নামতে হবে। এইডসে পৃথিবী বিলুপ্ত হবে না। সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লুতে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবে না কিন্তু এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস পড়া শেষ হবার সাথে সাথে যদি আপনি বুকে হাত বাদ দিয়ে নিজের ধর্মগ্রন্থের উপর হাত রেখে প্রতিজ্ঞা না করেন, তাহলে মনে রাখবেন আপনি বেঁচে থাকবেন না আগামী পঞ্চাশ বছরে। আপনার অনাগত সন্তান বেঁচে থাকবে না ২০৭০ সাল দেখবার জন্য।

Do you believe my Status?
Who cares?
Fight or Die.
Kill or be killed
Choice is yours!

#আমি_অপ্রয়োজনে_এন্টিবায়োটিক_খাই_না
#খেলেও_ডাক্তারের_কথা_বিশ্বাস_করে_ফুলডোজ_খাই
#ফার্মেসীর_কথা_শুনে_এন্টিবায়টিক_বদলাই_না_ডোজ_কমাই_না

ডা. রাজীব হোসাইন সরকার

আমি ঠিক হব,ঠিক করবো দেশ।

মোঃ মারুফ (ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)

ঘটনা ১ঃ ব্রিজ মোড় থেকে মেডিকেল যাচ্ছি অটোতে,মাঝখানে রেলক্রসিং এ পড়ে গেলাম।
অটোচালক বাম সাইড ক্রস করে ডানে দাড়াচ্ছিল জন্যে বললাম যে ওপাশ থেকে গাড়ি আসতে দেবেন না?এ পাশেই দাড়ান।

একটু রাগ হয়ে বলায় আর চালক অল্প বয়স্ক হওয়ায় সাহস না পেয়ে বামেই দাড়ালো।

একটু পর পিছনের আরেক অটো পাশ কাটিয়ে সামনে ডানে দাড় করালো।তাকেও একি কথা বললাম,
সে উত্তর দিল, আমারে কইয়া লাভ আছে,ওই পাশে দেহুইন্না?

আমি বললাম, অন্যজন করলে আপনিও করবেন?

অটোতে কতিপয় ভদ্রলোক ছিলেন তার একজন বললেন এগুলা বইলা লাভ নাই,বাংলাদেশে এমনেই চলতে হয়?
সবাই হেসে সমর্থন দিল।

একটু পর আমাদের  চালক বললো হেইনা এট্টু রাস্তা তার মধ্যে ফির বাস ঢুকে,রাস্তা বড় করেনা,জ্যাম হইবোনা ক্যান?

আমাদের অটোতে স্যুট পড়া ভদ্রলোক উত্তর দিলেন,

রাস্তা বড় করার কোন দরকার নাই।
রাস্তা বড় করলে যানবাহন বাড়ে,আর কার বাপের জমি কে ছাড়বো রাস্তার জন্য? বাড়ি ভাইঙা রাস্তা করার কোন মানেই নাই।

ঘটনা ২ঃআমার  মেজো খালা ঢাকায় বাসা ভাড়া থাকেন প্রায় বছর ছয়েক।
বাসাটি মানিকদি মসজিদ মোড় থেকে একটু ভিতরে,প্রায় ৫ মিনিট হাটতে হয়।
থাকেন ৫ তলায়।

একদিন রাতে আমি খালার বাসায় যাচ্ছি গলি দিয়ে,অন্ধকারে ধাক্কা খেলাম একজনের সাথে,
 গলিটা এমনি চিকন যে একসাথে দুইজন হেটে যাওয়া যায়না।

ধাক্কা খাওয়ার পর মনে হইছিল আচ্ছা এরা কি বাড়ি করার আগে রাস্তার কথা ভাবেনা?মরলে যে খাটিয়া করে লাশ বের করতে হবে সেটাও কি মাথায় থাকেনা?

আজ চকবাজারের আগুনের ছবি আর হাহাকার করা ছবি গুলো দেখে একেকজন হা হুতাশ করছি,দোষারোপ করছি

সরকার কেনো রাস্তা বড় করেনা,কেন আবাসিক এলাকা থেকে গোডাউন কেনো সরায় না,ফায়ার সার্ভিস লেট কেন?সরকার কি করে?

আমলা মন্ত্রীকে মুখ দিয়ে একদম ধুয়ে দেই।

এই আমরাই আবার সরকার যখন রাস্তা বড় করতে আসে তখন বাধা দেই,
আন্দোলন করি আমার বাপের জমি আমি ছারবোনা,জমি ছাড়ার আগে আমাদের কবর দিতে হবে এখানেই।

আমার জায়গায় আমি কি করি করি, সরকারের কি?
গোডাউন দেইনা ল্যাট্রিন দেই সরকারের কি?খায়া কোন কাজ কাম নাই সরকারের?

প্রত্যেকটা ইঞ্চি যায়গা আমরা নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে চাই।
ফলাফল একেকটা ভবনের সাথে জড়াজড়ি করে আরেকটা ভবন।
রাস্তার জন্য জায়গা না রেখে দরকার হলে রাস্তাটাও ব্যবহার করি গাড়ি পার্কিং এর জন্য।
তবু আরেকটা ইউনিট করতে হবে ফ্লাট এর।ভাড়া দিতে হবেতো।

আবার এই আমরাই সরকারি  অফিসে বসে ঘুষ খেয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিল্ডিংয়ের অনুমতি দেই,

আবার আমরাই কিন্তু ঐ নিয়ম এর তোয়াক্কা না করে গড়ে ওঠা বিল্ডিং ভাড়া নেই।দুর্ঘটনায় পড়ি,আহত হই,মারা যাই।কিন্তু শিক্ষাটাই নেইনা।

আবার যখন আমাদেরই কেউ মারা যায় আহাজারি করি আর দোষ দেই সরকারের।গালাগালি করি সরকারকে..

দোষ সরকারের আমি অস্বীকার করছিনা।

কিন্তু সরকার তো একজন মানুষ নয়,
আমরা প্রত্যেকেই সরকারের অংশ।

প্রত্যেকটা মৃত্যুর পিছনে আমার আপনার প্রত্যেকের দায় আছে,সরকারের পিয়ন থেকে কর্মকর্তা পর্যন্ত আমি আপনিই জড়িত।
আপনার আমার বাবা, ভাই,  চাচা, মামা, বোন , দুলাভাই,মা,চাচি, কেউনা কেউ জড়িত।
আমরাই ঘুষ খাই,বিল্ডিং বানাই।
নিজের বেলায় নিয়মনীতি ভুলে যাই,কাজ হলেই হল।

আবার কিছু হয়ে গেলে মুখে ফেনা তুলে ফেলি প্রতিবাদ করতে করতে।

ফলাফল আখেরে কোন লাভই নাই,রাস্তা দিয়ে ফায়ারসার্ভিস এর গাড়ি ঢুকবেনা,জ্যাম এ এম্বুলেন্স এ আমরাই আটকা পড়ব,দুর্ঘটনায় আমরাই মারা যাব।

পরিবর্তন হবেনা,কোনদিন ও হবেনা, যতদিন না আপনি নিজে চান মন থেকে,যতদিন না আপনি নিজেকে পরিবর্তন করছেন।তাই মুখে ফেনা না তুলে মনটাকে একটু ফেনা তুলে পরিষ্কার করা দরকার। হয়তো আমি আপনি পরিবর্তন দেখে যেতে পারবো না কিন্তু আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে অন্তত এমন মৃত্যু দেখে চোখের পানি ফেলতে হবেনা।😔

তাই সময় এসেছে নিজেদের বদলানোর।

আমি আপনিই  সরকার।

চলেন নিজে বদলাই দেশ বদলে যাবে।
দোষটা অন্যের ঘাড়ে না চাপিয়ে নিজে চেষ্টা করি।

অঙ্গিকার করি,
আমি ঠিক হব,ঠিক করবো দেশ।
#lets_change_ourselves

Thursday, February 21, 2019

চকবাজার অগ্নিদাহ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ, গ্যাসজাত সিলিন্ডার ব্যবহার ও মজুতকরন আইন করা দরকার।


প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারে। এরপর এলাকার সামনে পুরা এরিয়া দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।

সংকলকঃ মো মাহফুজ আহমেদ।

 রাজধানীর চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু লাশ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। নিহতদের দেখে পরিচয় শনাক্ত করার কোনো উপায় নেই। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪১ জন। অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক যুবক হলেন, রহনা হন মুক্তা প্লাস্টিক কারখানার কর্মচারী নাসির আহম্মেদ।
ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন নাসির আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার ১০ মিনিট আগে দোকান বন্ধ করে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কয়েক মিনিটের মধ্যে চকবাজার চুরিহাট্টা এলাকা আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’
এ সময় তিনি তার দোকানের পাশেই চা খাচ্চিলেন। প্রাণে বেঁচে যাওয়া নাসির এ ঘটনার বর্ণনায় বলেন, ‘আমার সামনেই পিকআপ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার পরে যায় এরপরেই আগুন ধরে যায় পাশে থাকা প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারে। এরপর এলাকার সামনে পূরা এরিয়া দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।’
তিনি কান্না জনিত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার দোকানের পাশের মোবাইলের দোকানদার দুই ভাই রানা আর রাজু আগুন দেখে ভিতর থেকে দোকানের সাটার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আগুন থেকে তাদের আর রক্ষা হয়নি। তারা দুই ভাই মারা যায়।’
পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ভবনগুলোতে লাগা ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া মরদেহের মধ্যে ৬৬ পুরুষ ৭ জন নারী ও ৫ জন শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪১ জন।
এর আগে, বুধবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানার চুড়ি হাট্টা শাহী মসজিদের সামনে একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে তা আশেপাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট চারঘণ্টার মতো কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এই ঘটনায় দগ্ধসহ আহত কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

Wednesday, February 20, 2019

বাংলার রংধনু: অসচেতনার কারনে আজ চক বাজার ট্রাজেডি। জাতি আজ শোকাহ...

বাংলার রংধনু: অসচেতনার কারনে আজ চক বাজার ট্রাজেডি। জাতি আজ শোকাহ...: চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত এবং আহত সকলের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা । মহান রাব্বুল আল-আমিন সবাইকে জান্নাতবাসী করুন। কীভাবে এই ভয়াব...

অসচেতনার কারনে আজ চক বাজার ট্রাজেডি। জাতি আজ শোকাহত।

 মো মাহফুজ আহমেদ।
******************
চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত এবং আহত সকলের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা ।

মহান রাব্বুল আল-আমিন সবাইকে জান্নাতবাসী করুন।

কীভাবে এই ভয়াবহ আগুন?
—————————

প্রথমে এক পিকআপের সাথে প্রাইভেট কারের সংঘর্ষ, শোনা যাচ্ছে সেই পিকআপে ছিল সিলিন্ডার গ্যাস, সেটার বিস্ফোরণ আগে হয় অথবা হয় প্রাইভেট কারের সিএনজি বিস্ফোরণ৷

এর পাশেই ছিল হোটেল, হোটেলে রান্না হচ্ছিল গ্যাসে, সেই গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ, সাথে থাকা বৈদ্যুতিক খুটিতে ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ।
সময় ৩০ সেকেন্ড!

অন্য একটি স্থানীয় সূত্রে জানা যায় -

যানজটে আটকে ছিল একটি পিকআপভ্যান। প্রথমে তার সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন ধরে যায়। আগুন ধরে পাশের একটি সিএনজি অটোরিকশায়, মোটরসাইকেলে।

এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের চুড়িহাট্টা এলাকার পুরো চৌরাস্তায়। একে একে বিস্ফোরিত হতে থাকে প্রতিটি গাড়ির সিলিন্ডার। পাশের দুটি রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডারগুলোও বিস্ফোরিত হয়। যারা ছিলেন গাড়িতে, মোটরসাইকেলে, অটোরিক্সা, রিক্সা কিংবা অন্য কোন বাহনে অথবা বাড়ি ফিরছিলেন পায়ে হেটে, যারা ছিলেন আশে পাশের দোকানে, কেউ রক্ষা পায়নি। যানজটে আটকে পড়া মানুষগুলোর ছুটে পালানোরও কোন সুযোগ ছিলো না।

নিহতদের অনেকেই হয়তো স্থানীয় মানুষ নয়, কারণ তারা নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য রাস্তাটি ব্যবহার করছিলেন।

আগুন ছড়িয়ে গেল ভবনে, ছিল নেল পালিশের কেমিকেলের গোডাউন থেকে শুরু করে পারফিউমের কেমিক্যাল। এমনকি লাইটার রিফিলের গ্যাসের ছোট ছোট জার। দুদিন আগেও সাত ট্রাক কেমিক্যাল ঢুকেছে ওই এলাকায়।

গেল সপ্তাহেও দক্ষিণের মেয়র মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে হাতজোড় করেছেন কেমিকেল গোডাউন সরিয়ে নিতে, কেউ পারছে না তাদের সরাতে, এক এক বাড়িতেই ১৫-২০ টা গোডাউন আর শিল্পমন্ত্রনালয়ের খাতা বলছে পুরো পুরান ঢাকাতেই এ সংখ্যা ১০০ এরও কম, মানে সিংহভাগই অনুমতিহীন।

পুড়ে ছাই হওয়া ওয়াহিদ ম্যানসনের ওয়াহিদ সাহেব মারা গেছেন আগেই, তাদ দু ছেলে এ ভবনে থাকতেন, ভাগ্যের কি পরিহাস, তারা যে কেমিক্যাল গোডাউন ভাড়া দিলেন, তার বিস্ফোরনেই প্রাণ গেছে নিজেদের পরিবারের লোকদের।

পরদিন ছুটি থাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা একটু গুছিয়ে নিচ্ছিলেন, সেই গোছানোয় চিরতরে গোছানো।

ফায়ার সার্ভিস কি করেনি? সারারাত চেষ্টা করেছে, ৩৭ টা ইউনিট ছিল, বিশাল গাড়ি নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।  বিমান বাহিনী হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিটিয়েছে, তাও ৪ টা হেলিকপ্টার। কী আর হয় তাতে? কেমিকেলগুলো সে পানিকে পাত্তাই দিতে চাইনি, পুরোটা জ্বলে, জালিয়ে তারপর নিভেছে প্রায় ৮ ঘন্টা পর!

মৃতের সংখ্যা ৭৬, বাড়ার আশংকা, হতাহত অর্ধশত।

পুরান  ঢাকার এই মানুষগুলো বহু আগে থেকেই মাইনফিল্ডে বাস করে। আমরাই বা কতটা নিরাপদ? প্রতিনিয়ত যে গাড়িটাতে চড়ছি, সেটার সিলিন্ডার কতটা নিরাপদ? গ্যাস সিলিন্ডারের এই শহর, কতটা ভয়ঙ্কর মরণফাঁদ নিয়ে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য!

নিমতলি থেকে আমরা শিক্ষা নেইনি, কাজেই একের পর এক উচিত শিক্ষা প্রকৃতিই দেবে, এই ই নিয়ম।

#সংগৃহীত

সারাদেশব্যপী যথা মর্যাদায় মাতৃভাষা দিবস পালিত।

মো মাহফুজ আহমেদ।



শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ। এটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছিল অতিদ্রুত এবং নিতান্ত অপরিকল্পিতভাবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শুরু করে রাত্রির মধ্যে তা সম্পন্ন করে। শহীদ মিনারের খবর কাগজে পাঠানো হয় ঐ দিনই। শহীদ বীরের স্মৃতিতে - এই শিরোনামে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ছাপা হয় শহীদ মিনারের খবর।
মিনারটি তৈরি হয় মেডিকেলের ছাত্র হোস্টেলের (ব্যারাক) বার নম্বর শেডের পূর্ব প্রান্তে। কোণাকুণিভাবে হোস্টেলের মধ্যবর্তী রাস্তার গা-ঘেঁষে। উদ্দেশ্য বাইরের রাস্তা থেকে যেন সহজেই চোখে পড়ে এবং যে কোনো শেড থেক বেরিয়ে এসে ভেতরের লম্বা টানা রাস্তাতে দাঁড়ালেই চোখে পড়ে। শহীদ মিনারটি ছিল ১০ ফুট উচ্চ ও ৬ ফুট চওড়া। মিনার তৈরির তদারকিতে ছিলেন জিএস শরফুদ্দিন (ইঞ্জিনিয়ার শরফুদ্দিন নামে পরিচিত), ডিজাইন করেছিলেন বদরুল আলম। সাথে ছিলেন সাঈদ হায়দার। তাদের সহযোগিতা করেন দুইজন রাজমিস্ত্রী। মেডিকেল কলেজের সম্প্রসারণের জন্য জমিয়ে রাখা ইট, বালি এবং পুরান ঢাকার পিয়ারু সর্দারের গুদাম থেকে সিমেন্ট আনা হয়। ভোর হবার পর একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় মিনারটি। ঐ দিনই অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে, ২২ ফেব্রুয়ারির শহীদ শফিউরেরপিতা অনানুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে দশটার দিকে শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন। উদ্বোধনের দিন অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ও সেনাবাহিনী মেডিকেলের ছাত্র হোস্টেল ঘিরে ফেলে এবং প্রথম শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে। এরপর ঢাকা কলেজেও একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হয়, এটিও একসময় সরকারের নির্দেশে ভেঙ্গে ফেলা হয়।
অবশেষে, বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেবার পরে ১৯৫৭ সালের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়। এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
১৯৫৬ সালে আবু হোসেন সরকারের মুখ্যমন্ত্রীত্বের আমলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বর্তমান স্থান নির্বাচন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। তৎকালীন পূর্ত সচিব (মন্ত্রী) জনাব আবদুস সালাম খান মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে 'শহীদ মিনারের' ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য চূড়ান্তভাবে একটি স্থান নির্বাচন করেন।
১৯৫৬ সালের ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি তারিখে জনৈক মন্ত্রীর হাতে 'শহীদ মিনারের' ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা থাকলেও তাতে উপস্থিত জনতা প্রবল আপত্তি জানায় এবং ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ রিক্সাচালক আওয়ালের ৬ বছরের মেয়ে বসিরণকে দিয়ে এ স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
স্থাপত্য নকশা
শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক এবং আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যুক্তফ্রন্ট সরকার কর্তৃক ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বতঃস্ফূর্তভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এরফলেই শহীদ মিনারের নতুন স্থাপনা নির্মাণ করা সহজতর হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত শহীদ মিনারের স্থপতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। তাঁরই রূপকল্পনা অনুসারে নভেম্বর, ১৯৫৭ সালে তিনি ও নভেরা আহমেদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সংশোধিত আকারে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ কাজ শুরু হয়। এ নকশায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলের সম্মুখভাগের বিস্তৃত এলাকা এর অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ ব্যক্তিত্ব আবুল বরকতের মাতা হাসিনা বেগম কর্তৃক নতুন শহীদ মিনারের উদ্বোধন করা হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পবিত্রতা ও 
শহীদ মিনার এলাকায় বিভিন্ন রকম কর্মকান্ড পরিচালিত হলেও এটি এখনো অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারী ব্যতীত শহীদ মিনার অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকে। 

মাদক মুক্ত কুড়িগ্রাম বির্নিমানে অংশীদার হই।

সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছি...

শিশির সরকার

আমার বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার, মিনাবাজার নামক স্থানে,আমাদের একটি সামাজিক সংগঠক আছে নাম "গ্রীন ফিল্ড"  সবার জন্য আমরা, ইদানিং সরকারের বিভিন্ন মাদক বিরোধী কার্যক্রমে মাদকের প্রভাব অনেক কমলেও তা পুরোপুরি কমছে না।আর যেটুকু বাকী আছে, আমরা আশা করছি  তা সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তাই গ্রীন ফিল্ড এর উদ্দোগে আগামী ২৬-০৩-২০১৯ ইং তারিখে  মিনাবাজার -কুড়িগ্রাম -মিনাবাজার,অথবা মিনাবাজার -উলিপুর -মিনাবাজার পযর্ন্ত(এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি,এতে সবার মতামত কামনা করছি) একটি মাদক বিরোধী সাইকেল র‍্যলি করতে চাচ্ছি যার পরিমান হবে ১০০+ সাইকেল ,এতে সকলের সহযোগীতা ও কিছু সংখ্যক পৃষ্ঠপোষক কামনা করছি।আসুন আমাদের তরুণ সমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি এবং মাদক মুক্ত কুড়িগ্রাম বির্নিমানে অংশীদার হই।

স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারস

Proud to be a Civil Enginear.

একজন ইঞ্জিনিয়ারকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, প্রকৌশলী হওয়ার জন্য আপনি কেন গর্ববোধ করছেন? তিনি হাসলেন এবং বললেন, একজন আইনজীবীর আয় বাড়ে দেশে খুনাখুনি, অপরাধ ও মামলা বৃদ্ধির সঙ্গে৷ আর একজন ডাক্তারকে যদি জিজ্ঞেস করেন কেমন আছেন? যদি উত্তর পান ভাল নেই, মানে দেশের মানুষের রোগ শোক হচ্ছে না৷ তাই উনার মন খারাপ৷ কারণ ডাক্তারের আয় বাড়ে মানুষের অসুস্থতা বৃদ্ধির সঙ্গে৷
কিন্তু একজন প্রকৌশলীর আয় বৃদ্ধি পায় মানুষের এবং জাতির সমৃদ্ধির সঙ্গে৷ দেশ এগিয়ে গেলে সব ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাড়ে, আমাদের আয়ও বাড়ে৷ সে কারণে আমরা গর্ব অনুভব করছি৷
আর দেখেন ডাক্তার তার আইডেনটিটির জন্য গলায় বা হাতে স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে রাখে৷ আইনজীবী হাতে ফাইল রাখে৷ শিক্ষক খাতা কলম চক নিয়ে থাকে৷ আপনারা সাংবাদিকরাও কম না৷ গলায় ক্যামেরা বা হাতে কলম নিয়ে রাখেন৷ কিন্তু আমাদের কিচ্ছু লাগে না৷ আমাদের সব কিছু থাকে মাথার ভেতর৷ সেটাই একজন প্রকৌশলীর পরিচয়।
❍✿➢একপোষ্টেই সংবিধানের আদি-অন্তঃ
……………………………………………
✿➢ সংবিধানের সংখ্যাসমূহঃ

✿➢১. মোট ভাগ - ১১টি
✿➢২.মোট অনুচ্ছেদ -১৫৩ টি
✿➢৩.মোট তফসিল -৭ টি
✿➢৪.মূলনীতি - ৪ টি
✿➢৫.সংবিধান রচনা কমিটির সদস্য -৩৪ জন
✿➢৬.সংরক্ষিত মহিলা আসন -৫০ টি
✿➢৭.সংবিধান সংশোধন -২/৩ অংশ ভোট
✿➢৮.রাষ্ট্রপতির অভিশংসন -২/৩ অংশ ভোট
✿➢৯.এক ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নিয়োগ হবেন -২ বার।
✿➢১০.রাষ্ট্রপতির বয়স -৩৫ বছর
✿➢১১.প্রধানমন্ত্রীর বয়স -২৫ বছর
✿➢১২.সংসদ সদস্যের বয়স - ২৫ বছর
✿➢১৩.শিশুশ্রম নিষিদ্ধ - ১৪ বছরের নিচে
✿➢১৪.প্রধান বিচারপতির অবসরসীমা -৬৭ বছর
✿➢১৫.পিএসসি চেয়ারম্যানের অবসরসীমা -৬৫
✿➢১৬.মহাহিসাব নিরীক্ষকের অবসর সীমা -৬৫ বছর
✿➢১৭.সংসদ অধিবেশন বিরতি - ৬০ দিন
✿➢১৮.সংসদ নির্বাচন -৯০ দিন
✿➢১৯.সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদ অধিবেশন আহ্বান -৩০ দিন
✿➢২০.অধ্যাদেশ কার্যকর - ৩০ দিন
……………
✿সংবিধান নিয়ে ১৫১টি প্রশ্নঃ
1. প্রশ্ন: যুদ্ধপরাধীদের বিচারসংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদটি হলো -
উত্তর: ৪৭
2.প্রশ্ন: বাংলাদেশ সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর: চতুর্থ
3.প্রশ্ন: বাংলাদেশ সংবিধানের কোন ভাগে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: তৃতীয় ভাগে
প্রশ্ন: বাংলাদেশ সংবিধানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি কোন অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে?
উত্তর: ১১৭
4. প্রশ্ন: “আইনের চোখে সব নাগরিক সমান।” – বাংলাদেশের সংবিধানের কত নম্বর ধারায় এ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে?
উত্তর: ধারা ২৭
5. প্রশ্ন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে রদ করা হয়েছে?
উত্তর: ১৫ তম
6) বাংলাদেশের সংবিধানের প্রনয়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয় কবে?
উঃ- ২৩ মার্চ, ১৯৭২।
7) বাংলাদেশের সংবিধান কবে উত্থাপিত হয়?
উঃ- ১২ অক্টোবর, ১৯৭২।
8) গনপরিষদে কবে সংবিধান গৃহীত হয়?
উঃ- ০৪ নভেম্বর,১৯৭২।
9) কোন তারিখে বাংলাদেশের সংবিধান বলবৎ হয়?
উঃ- ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
10) বাংলাদেশে গনপরিষদের প্রথম অধিবেশন কবে অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ- ১০ এপ্রিল, ১৯৭২।
11) সংবিধান প্রনয়ণ কমিটি কতজন সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়?
উঃ- ৩৪ জন।
12) সংবিধান রচনা কমিটির প্রধান কে ছিলেন?
উঃ- ডঃ কামাল হোসেন।
13) সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য কে ছিলেন?
উঃ- বেগম রাজিয়া বেগম।
14) বাংলাদেশ সংবিধানের কয়টি পাঠ কয়েছে?
উঃ- ২ টি। বাংলা ও ইংরেজি।
15) কি দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান শুরু ও শেষ হয়েছে?
উঃ- প্রস্তাবনা দিয়ে শুরু ও ৭টি তফসিল দিয়ে শেষ।
16) বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি ভাগ আছে?
উঃ- ১১ টি।
17) বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ/ধারা কতটি?
উঃ- ১৫৩ টি।
18) বাংলাদশের প্রথম হস্তলেখা সংবিধানের মূল লেখক কে?
উঃ- আবদুর রাউফ।
19) প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কোন কাজ রাষ্ট্রপতি এককভাবে করতে সক্ষম?
উঃ- প্রধান বিচারপতির নিয়োগ দান।
20) রাষ্ট্রপতির মেয়াদকাল কত বছর?
উঃ- কার্যভার গ্রহনের কাল থেকে ৫ বছর।
21) একজন ব্যক্তি বাংলাদশের রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন কত মেয়াদকাল?
উঃ- ২ মেয়াদকাল।
22) কার উপর আদালতের কোন এখতিয়ার নেই?
উঃ- রাষ্ট্রপতি।
23) জাতীয় সংসদের সভাপতি কে? উঃ- স্পিকার।
24) রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে চাইলে কাকে উদ্দেশ্য করে পদত্যাগ পত্র লিখবেন?
উঃ- স্পিকারের উদ্দেশ্যে।
25) প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের নিয়োগ প্রদান করেন কে?
উঃ- রাষ্ট্রপতি।
26) এ্যার্টনি জেনারেল পদে নিয়োগ দান করেন কে?
উঃ- রাষ্ট্রপতি।
27) সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আছে কতটি?
উ:১২টি।
28) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত কোনটি?
উঃ- সুপ্রীম কোর্ট।
29) সুপ্রীম কোর্টের কয়টি বিভাগ আছে?
উঃ- ২টি । আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ
30) সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের মেয়াদকাল কত?
উঃ- ৬৭ বছর পর্যন্তু।
31) বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম মূলনীতি কি ছিল?
উঃ- ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র।
32) কোন আদেশবলে সংবিধানের মূলনীতি “ধর্মনিরপেক্ষতা” বাদ দেয়া হয়?
উঃ- ১৯৭৮ সনে ২য় ঘোষনাপত্র আদেশ নং ৪ এর ২ তফসিল বলে।
33) কোন আদেশবলে সংবিধানের শুরুতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” সন্নিবেশিত হয়?
উঃ- ১৯৭৮ সনে ২য় ঘোষনাপত্র আদেশ নং ৪ এর ২ তফসিল বলে।
34) কোন আদেশবলে বাংলাদেশের নাগরিকগণ “বাংলাদেশী” বলে পরিচিত হন?
উঃ- ১৯৭৮ সনে ২য় ঘোষনাপত্র আদেশ নং ৪ এর ২ তফসিল বলে।
35) সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে “গনতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকারের” নিশ্বয়তা দেয়া আছে?
উঃ- ১১ অনুচ্ছেদ।
36) সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে “কৃষক ও শ্রমিকের” মুক্তির কথা বলা আছে?
উঃ- ১৪ অনুচ্ছেদ।
37) সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে “নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ” এর কথা বলা হয়েছে?
উঃ- ২২ অনুচ্ছেদ।
38) “সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী” বর্ণিত কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ২৭ অনুচ্ছেদে।
39) জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষিত রয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩২ অনুচ্ছেদে।
40) গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কিত রক্ষাকবচের কোন অনুচ্ছেদ?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৩ অনুচ্ছেদে।
41) জবরদস্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৪ অনুচ্ছেদে।
42) চলাফেরার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৬ অনুচ্ছেদে।
43) সমাবেশের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৭ অনুচ্ছেদে।
44) সমিতি ও সংঘ গঠনের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৮ অনুচ্ছেদে।
45) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৯ (১) অনুচ্ছেদে।
46) বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৯(২) ক অনুচ্ছেদে।
47) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৯ (২) খ অনুচ্ছেদে।
48) পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৪০ অনুচ্ছেদে।
49) ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৪১ অনুচ্ছেদে।
50) সম্পত্তির অধিকারের কথা বর্ণিত হয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৪২ অনুচ্ছেদে।
51) স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ কোনটি?
উঃ- ৭৪ অনুচ্ছেদ।
“বইওয়ালা বিসিএস সল্যুশন” এর সাথেই থাকুন।
52) ন্যায়পাল নিয়োগ সংক্রান্ত কথা বলা হয়েছে?
উঃ- ৭৭ অনুচ্ছেদে।
53) জাতীয় সংসদে ন্যায়পাল আইন কবে পাস হয়?
উঃ- ১৯৮০ সালে।
54) বাংলাদশের সংবিধানের এ পর্যন্তু মোট কতটি সংশোধনী আনা হয়েছে?
উঃ- ১৬ টি।
55) ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ কবে জারী করা হয়?
উঃ- ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫।
56) ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ কবে বাতিল করা হয়?
উঃ- ১২ নভেম্বর, ১৯৯৬।
58) বাংলাদেশের আইন সভার নাম কি?
উঃ- জাতীয় সংসদ।
59) জাতীয় সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর কবে স্থাপন করা হয়?
উঃ- ১৯৬২ সালে।
60) জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি কে?
উঃ- লুই আই কান।
61) লুই আই কান কোন দেশের নাগরিক?
উঃ- যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
বইওয়ালা বিসিএস সল্যুশন এর সাথেই থাকুন।
62) জাতীয় সংসদ ভবনের ছাদ ও দেয়ালের স্ট্রাকচারাল ডিজাইনার কে?
উঃ- হ্যারি পাম ব্লুম।
63) জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরম্ন হয় কবে?
উঃ- ১৯৬৫ সালে।
64) জাতীয় সংসদ ভবনের ভূমির পরিমান কত?
উঃ- ২১৫ একর।
65) জাতীয় সংসদ ভবন উদ্বোধন করা হয়?
উঃ- ২৮ জানুয়ারী, ১৯৮২।
66) জাতীয় সংসদ ভবন কত তলা বিশিষ্ট?
উঃ- ৯ তলা।
67) জাতীয় সংসদ ভবনের উচ্চতা কত?
উঃ- ১৫৫ ফুট।
68) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রতীক কি?
উঃ- শাপলা ফুল।
69) জাতীয় সংসদ ভবন কে উদ্বোধন করেন?
উঃ- রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার।
70) বর্তমান জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন কবে বসে?
উঃ- ১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৮২।
71) বাংলাদেশের সংসদের মোট আসন সংখ্যা কতটি?
উঃ- ৩৫০ টি।
72) বাংলাদেশের সংসদের সাধারন নির্বাচিত আসন সংখ্যা কতটি?
উঃ- ৩০০ টি।
73) সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন স্যখ্যা কতটি?
উঃ- ৫০ টি।
74) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ১ নং আসন কোনটি?
উঃ- পঞ্চগড়-১।
75) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০ নং আসন কোনটি?
উঃ- বান্দরবান।
76) জাতীয় সংসদের কাস্টি ভোট বলা হয়?
উঃ- স্পিকারের ভোটকে।
77) সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ব্যবধান কতদিন?
উঃ- ৬০ দিন।
78) গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার বলবৎকরন কোন কোন অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে?
উত্তর: যথাক্রমে ১১ ও ৪৪ অনুচ্ছেদ।
79) সাধারন নির্বাচনের কতদিনের মধ্যে সংসদ অধিবশন আহবান করতে হবে?
উঃ- ৩০ দিন।
80) সংসদ অধিবেশন কে আহবান করেন?
উঃ- রাষ্ট্রপতি।
81) সংসদ অধিবেশনের কোরাম পূর্ন হয় কত জন সংসদ হলে?
উঃ- ৬০ জন।
বইওয়ালা বিসিএস সল্যুশন এর সাথেই থাকুন
82) সংবিধান সংশোধনের জন্য কত সংসদ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হয়?
উঃ- দুই-তৃতীয়াংশ।
83) একাধারে কতদিন সংসদে অনুপস্থিত থাকলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়?
উঃ- ৯০ কার্যদিবস।
84) গণ-পরিষদের প্রথম স্পিকার কে?
উঃ- শাহ আব্দুল হামিদ।
85) গণ-পরিষদের প্রথম ডেপুটি স্পিকার কে?
উঃ- মোহাম্মদ উল্ল্যাহ।
86) এ দেশের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাস কবে থেকে চর্চা শুরু হয়?
উঃ- ১৯৩৭ সালে।
87) কোন কোন বিদেশী প্রথম জাতীয় সংসদে ভাষণ দেন?
উঃ- যুগোশ্লেভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল জোসেফ টিটো-৩১ জানু, ১৯৭৪ এবং ভারতের প্রেসিডেন্ট ভি.ভি. গিরি-১৮ জুন, ১৯৭৪।
88) বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় সংসদ নিবার্চনে নির্বাচিত একজন সদস্য নিজেই নিজের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন, তিনি কে?
উঃ- এডভোকেট আবদুল হামিদ।
বইওয়ালা বিসিএস সল্যুশন এর সাথেই থাকুন
89) নির্বাচন কমিশন কার সমমর্যাদার অধিকারী?
উঃ- সুপ্রীম কোর্ট।
90) বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার কে?
উঃ- বিচারপতি এম ইদ্রিস।
91) বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন কমিশনার কে?
উঃ- কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ
92) নির্বাচন কমিশন কেমন প্রতিষ্ঠান?
উঃ- স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান।
93) “তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল” কবে সংসদে পাশ হয়?
উঃ- ২৭ মার্চ, ১৯৯৬।
94) বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে?
উঃ- সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী)।
95) এডভোকেট আবদুল হামিদ বাংলাদেশের কততম প্রেসিডেন্ট?
উঃ- ২০তম।
বইওয়ালা বিসিএস সল্যুশন এর সাথেই থাকুন
96) বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে?
উঃ- তাজউদ্দিন আহমেদ।
97) শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশের কততম প্রধানমন্ত্রী?
উঃ- ১৪ তম।
98) বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হতে হলে বয়স কমপক্ষে কত হবে?
উঃ- ৩৫ বছর।
99) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে হলে বয়স কমপক্ষে কত হতে হবে?
উঃ- ২৫ বছর।
100) জাতীয় সংসদের সদস্য হতে হলে বয়স কমপক্ষে কত হতে হবে?
উঃ- ২৫ বছর।
101. প্রশ্ন: সংবিধান অনুযায়ী মালিকানা কয় ধরনের?
উত্তর: ৩
102. প্রশ্ন: মানুষের মৌলিক চাহিদা কতটি?
উত্তর: ৫
103. প্রশ্ন: যুদ্ধাপরাধীর বিচার সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদটি হলো--
উত্তর: ৪৭
104. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে “রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন” বলা আছে?
উত্তর: ২৮ (২) নং অনুচ্ছেদে
105. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলে পরিচিত হবেন?
উত্তর: ৬ (২)
106. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ বলে রাষ্ট্র নারী, শিশু বা অনগ্রসর নাগরিকদের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান তৈরির ক্ষমতা পায়?
উত্তর: ২৮
107. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর উদ্দেশ্য কি ছিল?
উত্তর: ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দির বিচার অনুষ্ঠান
108. প্রশ্ন: গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কোন তারিখ থেকে?
উত্তর: ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭২
109. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থা সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রবর্তিত হয়?
উত্তর: দ্বাদশ
110. প্রশ্ন: চতুর্দশ সংশোধনীর প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তর: মহিলাদের সংরক্ষিত আসন
111. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কত ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রপতি মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নিযুক্তি দেন ?
উত্তর: ৫৬ (২) ধারা
112. প্রশ্ন: 'অর্থ বিল' সম্পর্কিত বিধানাবলী আমাদের সংবিধানের কোন আর্টিক্যালে উল্লেখ আছে?
উত্তর: ৮১ (১)
113. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ কর্মকমিশন গঠিত হয়?
উত্তর: ১৩৭
114. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে কে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন?
উত্তর: জাতীয় সংসদ
115. প্রশ্ন: সংবিধানের কত ধারা অনুযায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল অধ্যাদেশ-২০০২ করা হয়েছে?
উত্তর: ৯৩ (১)
116. প্রশ্ন: 'প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ' ঘোষণাটি বাংলাদেশ সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে?
উত্তর: ৭
117. প্রশ্ন: সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ 'ন্যায়পাল' নিয়োগের বিধান আছে?
উত্তর: ৭৭ নং অনুচ্ছেদে
118. প্রশ্ন: ইংরেজীতে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাংবিধানিক নাম -
উত্তর: House of Nation
119. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে 'রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন' বলা আছে?
উত্তর: ২৮ (২) নং অনুচ্ছেদে
120. প্রশ্ন: সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে সর্বাধিক কতজনকে Technocrat মন্ত্রী নিয়োগ করা যায়?
উত্তর: এক-দশমাংশ
121. প্রশ্ন: সংবিধান বা শাসনতন্ত্র হচ্ছে -
উত্তর: রাষ্ট্রের মৌলিক আইন
122. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের ২১ (২) ধারায় বলা হয়েছে "সকল সময়ে ---- চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য"। শূন্যস্থানটি পূরণ কর।
উত্তর: জনগনের সেবা করিবার
123. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী জাতীয় সংসদের কোন তারিখে পাস হয়েছিল?
উত্তর: ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫
124. প্রশ্ন: জরুরী অবস্থা জারির বিধান সংবিধানে সন্নিবেশিত হয় -
উত্তর: দ্বিতীয় সংশোধনীতে
125. প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর বা অন্যভাবে বিলি-ব্যবস্থা করার অধিকার থাকবে' বলে বলা হয়েছে বাংলাদেশ সংবিধানের -
উত্তর: ৪২ নং অনুচ্ছেদ
126. প্রশ্ন: বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন একটি -
উত্তর: সাংবিধানিক সংস্থা
127. প্রশ্ন: সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ১১৮ নং অনুচ্ছেদে
128. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন সংশোধনী দ্বারা বাংলাদেশে উপ-রাষ্ট্রপতি পদ বিলুপ্ত করা হয়?
উত্তর: দ্বাদশ
129. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানে কতটি ভাগ বা অধ্যায় আছে?
উত্তর: ১১ টি
131. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানে আইনের ব্যাখ্যা দেয়া আছে কোন অনুচ্ছেদে?
উত্তর: ১৫২
132. প্রশ্ন: সংসদের 'বিশেষ অধিকার কমিটি' কোন ধরনের কমিটি?
উত্তর: সাংবিধানিক স্থায়ী কমিটি
133. প্রশ্ন: ইসলামকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৮৮
134. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের এখন পর্যন্ত (২০১৬) কতটি সংশোধনী আনা হয়েছে?
উত্তর: ১৬
135. প্রশ্ন: বাংলাদেশ সংবিধানের তফসিল কতটি?
উত্তর: ৭ টি
137. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কত ধারায় শিক্ষার জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকার ব্যক্ত আছে?
উত্তর: ১৭ নং ধারা
138. প্রশ্ন: বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারী করেন কে?
উত্তর: শেখ মুজিবুর রহমান
139. প্রশ্ন: বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সর্বপ্রথম কোন সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তন করা হয়?
উত্তর: ৮ম
140. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য -
উত্তর: বেগম রাজিয়া বানু
141) বাংলাদেশে কোন ধরনের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত?
উঃ- সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র।
142) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন কি?
উঃ- সংবিধান।
143) কোন দেশের কোন লিখিত সংবিধান নাই?
উঃ- বৃটেন, নিউজিল্যান্ড, স্পেন ও সৌদি আরব।
144) বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবিধান কোন দেশের?
উঃ- ভারত।
145) বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সংবিধান কোন দেশের?
উঃ- আমেরিকা।
146. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৭ নং ধারায় প্রতিষ্ঠিত সংস্থা কোনটি?
উত্তর: বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন
147. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক ও ব্যাখ্যাকারক কে?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্ট
148. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে ভোটার তালিকার বিধান বর্ণিত আছে?
উত্তর: ১২১ নং অনুচ্ছেদে
149. প্রশ্ন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন -
উত্তর: দুই-তৃতীয়াংশ
150. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকগণ 'বাংলাদেশী' বলিয়া পরিচিত হবেন?
উত্তর: ৬ (২)
151. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ বলে রাষ্ট্র নারী, শিশু বা অনগ্রসর নাগরিকদের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান তৈরীর ক্ষমতা পায়?

উত্তর: ২৮ (৪)

Tuesday, February 19, 2019

##আর্থিং এবং নিউট্রালের মাঝে প্রার্থক্য

আর্থিং কি এবং আর্থিং কেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
আর্থিং কি: অনাকাঙ্খিত বিদ্যুৎ থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সরাঞ্জাম ও মানুষ কে রক্ষা করার জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির মেটাল বা বাহিরাবরণ থেকে কারেন্টকে কোন পরিবাহী দ্বারা মাটিতে প্রেরণ করার ব্যবস্থা কে আর্থিং বলে।

আর্থিং কেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে: আর্থিং কে অনেকেই গ্রাউন্ডিং বলে থাকে। কোন কারনে লাইনে লিকেজ কারেন্ট হলে আর্থিং সেই লিকেজ কারেন্ট কে কোন প্রকার বিপদ না ঘটিয়ে তারের মাধ্যমে সহজে মাটিতে চলে যেতে সাহায্য করে।

##নিউট্রাল কি এবং কেন প্রয়োজন হয়ে থাকে?

নিউট্রালের মধ্যে শুধু কারেন্ট থাকে। আর নিউট্রাল যদি না থাকে তাহলে সার্কিট ক্লোজ হবে না। আর ক্লোজ না হলে কারেন্ট ও প্রবাহিত হবে না। কারেন্ট নিউট্রালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং তা সিস্টেম কে সচল রাখে। নিউট্রাল কারেন্টের জন্য অপেক্ষাকৃত ছোট পথ প্রদান করে থাকে।
নিউট্রাল লাইনে শক করে না কেন?

অনেকের মাঝে প্রশ্ন থাকে যে, নিউট্রাল লাইন দিয়ে যদি বৈদ্যুতিক কারেন্ট ফেরত যায় তাহলে কারেন্ট শক করে না কেন???

আমরা এটা জানি যে বৈদ্যুতিক শকের মাত্রা নির্ভর করে বৈদ্যুতিক চাপ তথাঃ ভোল্টেজের উপর। তাহলে যেহেতু নিউট্রাল লাইনের ভোল্টেজ শূন্য এবং নিউট্রাল কে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থের সাথে গ্রাউন্ডিং করা হয়ে থাকে, তাই এতে কোন বৈদ্যুতিক চাপ না থাকায় আমাদের শক লাগে না।

তবে হ্যা, এই কাজটি কখনো করতে যাবেন না কারন সিস্টেমে অনেক সময় ত্রুটি থাকার কারনে লাইনের ফল্ট কারেন্ট এর ভিতর দিয়ে কিছু লিকেজ ভোল্টেজ প্রবাহিত হতে পারে।

##আর্থিং এবং নিউট্রালের মাঝে প্রার্থক্য

আর্থিং সরাসরি মাটির সাথে যুক্ত থাকে যেখানে নিউট্রাল লাইন সরাসরি পাওয়ার স্টেশন বা ট্রান্সফরমারে ফেরত যায়।স্বাভাবিক অবস্থায়, নিউট্রালে কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং তা অপেক্ষাকৃত ছোট পথ প্রদান করে যেখানে আর্থিং ব্যবহারকারিকে নিরাপত্তা প্রদান করে অর্থাৎ বিপদজনক পরিস্থিতিতে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে দ্রুত বিদ্যুৎ মাটিতে প্রেরণ করে থাকে।আর্থিং রেজিস্ট্যান্স কত হওয়া দরকার?বাসা-বাড়ীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ ওহম হওয়া দরকার, এর বেশি হওয়া চলবে না।সাব-স্টেশন ও পাওয়ার লাইনের জন্য সর্বোচ্চ ১ ওহম হওয়া দরকার।

Sunday, February 17, 2019

Works For Humanity Foundation,

Your donation reminds me of how much we depend on your generosity and moral support to accomplish our event to feed the orphan on valentines day "Donate Love Spread Happiness - season 2" powered by Works For Humanity Foundation. Thank you for your gift. Your kind gesture helps us to bring smile on the face of an orphan and to feed him. Thank you for your trust in us.

Regards,

Works For Humanity Foundation,

23/1,Kha, Sanatangar, Hazaribag, Dhaka.
Contact: 01746921283

Saturday, February 16, 2019

শুক্রবারে মৃত্যু, যেন কবির ইচ্ছারই পূর্ণতা পেল!


১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯,
কবি আল মাহমুদ চেয়েছিলেন শুক্রবার দিন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে। অবশেষে তার ইচ্ছই পূর্ণ হলো। শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে এই পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান কবি।

‘স্মৃতির মেঘলাভোরে’ নামক একটি কবিতায় তার ইচ্ছার প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন কবি। ওই কবিতায় তিনি লিখেছিলেন- কোনো এক শুক্রবারের ভোরবেলা মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে ডাক দিলে তিনি খুশি মনেই তার ডাকে সারা দেবেন। আনন্দের সঙ্গেই তিনি এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন।

কবি আল মাহমুদের লেখা কবিতাটি তুলে ধরা হলো:

‘স্মৃতির মেঘলাভোরে’

__আল মাহমুদ

কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে

মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ;

অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে

ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।

ফেলে যাচ্ছি খড়কুটো, পরিধেয়, আহার, মৈথুন–

নিরুপায় কিছু নাম, কিছু স্মৃতি কিংবা কিছু নয়;

অশ্রুভারাক্রান্ত চোখে জমে আছে শোকের লেগুন

কার হাত ভাঙে চুড়ি? কে ফোঁপায়? পৃথিবী নিশ্চয়।

স্মৃতির মেঘলাভোরে শেষ ডাক ডাকছে ডাহুক

অদৃশ্য আত্মার তরী কোন ঘাটে ভিড়ল কোথায়?

কেন দোলে হৃদপিণ্ড, আমার কি ভয়ের অসুখ?

নাকি সেই শিহরণ পুলকিত মাস্তুল দোলায়!

আমার যাওয়ার কালে খোলা থাক জানালা দুয়ার

যদি হয় ভোরবেলা স্বপ্নাচ্ছন্ন শুভ শুক্রবার।

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ আর নেই। শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

Wednesday, February 13, 2019

ফুলবাড়ী থেকে সুন্দরবন

ফুলবাড়ী থেকে সুন্দরবন
আনু মুহাম্মদ
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:২৭
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩০
প্রিন্ট সংস্করণ
 

ফুলবাড়ী থেকে সুন্দরবন
বাংলাদেশের উত্তর সীমানার শেষ প্রান্তের কাছে ফুলবাড়ী। আর দক্ষিণ সীমানার প্রান্তে সুন্দরবন। এই উত্তর–দক্ষিণের মধ্যেই সমগ্র বাংলাদেশ। এই দুটি নামই সুন্দর, দুটিই ভীষণ বিপদে—তাই বাংলাদেশও। ফুলবাড়ীসহ ছয় থানা বাংলাদেশের প্রাণপ্রকৃতিরই একটি ছবি। তিন ফসলি জমি, মাটির ওপর ও নিচে সমৃদ্ধ পানিসম্পদ, প্রাণবৈচিত্র্য, পরিশ্রমী মানুষ—সবই। আর দক্ষিণে সুন্দরবন সারা বিশ্বেই স্বীকৃত একটি অতুলনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে। জলজ বন, অসাধারণ প্রাণবৈচিত্র্য, অতুলনীয় বাস্তুসংস্থানে বিশিষ্ট, প্রাকৃতিক সুরক্ষাপ্রাচীর হিসেবে বহুকাল ধরে মানুষ ও সম্পদের রক্ষাকারী এই মহাপ্রাণ সুন্দরবন। দুই প্রান্ত আর দুই প্রান্তের ভেতরের প্রাণপ্রকৃতি মানুষ একে একে নানা আয়োজনে নির্বোধ ও লোভী দস্যুবৃত্তির শিকার হয়ে যাচ্ছে। এসব আয়োজনের শিরোনাম: ‘উন্নয়ন’।

উন্নয়ন বলতে বোঝায় বিদ্যমান সম্পদ ও সক্ষমতাকে বাড়ানো; জীবনকে আরও সহজ, আরামদায়ক ও নিরাপদ করা; জ্ঞানবিদ্যা, যোগাযোগ ও বিনোদনের জগৎ প্রসারিত করা। যদি দেখা যায় সম্পদ ও সক্ষমতা আরও বিপর্যস্ত হচ্ছে, যদি দেখা যায় জীবন আরও কঠিন, অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে, যদি দেখা যায় চারপাশের জগৎ আরও বিপর্যস্ত হচ্ছে, তাহলে তাকে কি আমরা উন্নয়ন বলতে পারি? ফুলবাড়ী ও সুন্দরবনের ওপর চাতুরীপূর্ণ প্রকল্পগুলো তার দৃষ্টান্ত।

ফুলবাড়ী থেকে জনগণের তাড়া খেয়ে পালিয়েছিল এশিয়া এনার্জি নামে ভুঁইফোড় এক বিদেশি কোম্পানি। অস্ট্রেলিয়ার বিএইচপির মতো অভিজ্ঞ সংস্থা যা বাংলাদেশে করা সম্ভব নয় বলে চলে গেছে, সেই উন্মুক্ত খনি করবার প্রকল্প নিয়ে হঠাৎ ১৯৯৭ সালে এশিয়া এনার্জি কোম্পানি গঠিত হয় এবং ফুলবাড়ীসহ ছয় থানার বিশাল খনির কাজ পেয়ে যায়। তারা লাইসেন্স পায়; ‘পরিবেশগত সমীক্ষা’ করার আগেই ছাড়পত্রও পায়। এরপর ২০০৫ সালে কাজ শুরু করতে গেলে জনপ্রতিরোধের মধ্যে পড়ে। ঘটনাবলি যেভাবে অগ্রসর হচ্ছিল, তাতে জনগণ যদি নিষ্ক্রিয় থাকত, এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়ে যে উত্তরবঙ্গের বহু স্থানে এখন পানির সংকট, তা হাহাকার পর্যায়ে যেত। বহু নদীনালা, খালবিলের অবস্থা বুড়িগঙ্গার চেয়ে ভয়াবহ হতো। খনি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আবাদি জমি নষ্ট ও অনাবাদি হওয়ার কারণে খাদ্য উৎপাদনে ভয়াবহ নিম্নগতি সৃষ্টি হতো। জীবিকা ও ঘরবাড়ি হারিয়ে লাখ লাখ মানুষ নতুন করে ঢাকার রাস্তায় আশ্রয় নিতেন। কয়লা রপ্তানির প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সুন্দরবনও বিপর্যস্ত হতো।

২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট প্রায় লাখ মানুষের মিছিল–সমাবেশ হয় এর বিরুদ্ধে। হামলা, খুন আর জখম করেও কোম্পানিমুখী সরকার থামাতে পারেনি মানুষকে। গণ-অভ্যুত্থান ছড়িয়ে পড়েছিল। ৩০ আগস্ট তৎকালীন সরকার ওই কোম্পানি বহিষ্কার, উন্মুক্ত খনি নিষিদ্ধসহ ৭ দফা দাবি মেনে জনগণের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এই চুক্তির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অপতৎপরতা থামেনি। আশার কথা, প্রতিরোধও জীবন্ত আছে।

Eprothom Alo
তাড়া খাওয়ার পর ঘাপটি মেরে বসে এশিয়া এনার্জি নাম পাল্টে হয়েছিল গ্লোবাল কোল ম্যানেজমেন্ট (জিসিএম)। লাইসেন্স এখন আর কার্যকর নেই, তবু ফুলবাড়ী দেখিয়ে এই কোম্পানি বছরের পর বছর লন্ডনে শেয়ার ব্যবসা করে যাচ্ছে। বেআইনিভাবে ফুলবাড়ী খনি দেখানোই তাদের একমাত্র সম্বল। কেননা, ১৯৯৭ সালের পর এই ২২ বছরেও এই কোম্পানি দুনিয়ার আর কোথাও কোনো খনির কাজ পায়নি। এটা খুব বিস্ময়কর যে দেশে সরকার থাকতে কী করে একটি বিদেশি কোম্পানি দেশের সম্পদ নিয়ে বিদেশে অবৈধভাবে শেয়ার ব্যবসা করতে পারে। দেখা যাচ্ছে, শেয়ার ব্যবসার মুনাফার একাংশ ছড়িয়েই দেশে কোম্পানি তার খুঁটি ধরে রেখেছে। শুধু তা–ই নয়, ফুলবাড়ী খনি নিয়ে একটি চীনা কোম্পানির সঙ্গে তারা চুক্তিও করেছে গত নভেম্বর মাসে। অথচ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। (বণিক বার্তা, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯) চীনা বিভিন্ন কোম্পানি এখন টাকার থলে আর সব বিষাক্ত প্রকল্প নিয়ে হাজির বাংলাদেশে।

সুন্দরবনবিনাশী রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পও তাই। গত কয় বছরে দেশ–বিদেশের বিশেষজ্ঞরা বিস্তারিত তথ্য ও যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন যে প্রাকৃতিক রক্ষাবর্ম হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতিকে যে সুন্দরবন রক্ষা করে, এবং অসাধারণ জীববৈচিত্র্যের আধার হিসেবে যা প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে, সেই সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে এই প্রকল্প। এটাও দেখানো হয়েছে যে ভারতীয় কোম্পানি (এনটিপিসি) নিজ দেশের আইন ভঙ্গ করে বাংলাদেশের জন্য সর্বনাশা এই প্রকল্পে চালকশক্তি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ভারতীয় কোম্পানি বাংলাদেশে সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে। বাফার জোন বিবেচনা করলে এই দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। অথচ ভারতের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রণীত পরিবেশ সমীক্ষা বা ইআইএ গাইডলাইন ম্যানুয়াল ২০১০ অনুযায়ী, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বাঘ বা হাতি সংরক্ষণ অঞ্চল, জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল, জাতীয় উদ্যান, বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য কিংবা অন্য কোনো সংরক্ষিত বনাঞ্চল থাকা অনুমোদন করা হয় না। ভারতীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ‘তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসংক্রান্ত গাইডলাইন, ১৯৮৭’ অনুসারেও কোনো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যায় না। এ জন্য গত কয়েক বছরে ভারতের কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে তিনটি বিদ্যুৎ প্রকল্প আটকে গেছে।

ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসির এই প্রকল্প সম্পর্কে ভারতের স্বাধীন বিশেষজ্ঞরাও ব্যাখ্যা করে বলছেন, তা কীভাবে মহাবিপর্যয় ঘটাবে (প্রথম আলো, ১৬ এপ্রিল ২০১৭)। শ্রীলঙ্কাও এ কারণে তার উপকূলে এনটিপিসির একটি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে এই প্রকল্পের জোরে সুন্দরবনের ‘ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া’ বলে স্বীকৃত অঞ্চলে আরও শতাধিক বনগ্রাসী-ভূমিগ্রাসী বাণিজ্যিক প্রকল্প নিয়েছে দেশি দখলদারেরা। পাশাপাশি অনেক বেশি ব্যয়, অসম্ভব ঝুঁকি নিয়ে, কোম্পানিকে দায়মুক্তি দিয়ে তৈরি হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ভুল গৌরবে মানুষকে আচ্ছন্ন করে অচিন্তনীয় বিপদে ফেলা হচ্ছে দেশকে। সবই হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে।

বিদ্যুৎ–সংকট সমাধানে অনেক ভালো পথ অবশ্যই আছে। সর্বজনের সম্পদে শতভাগ জাতীয় মালিকানা ও শতভাগ সম্পদ দেশের কাজে ব্যবহার, দুর্নীতি করার দায়মুক্তি আইন বাতিল করে ‘খনিজসম্পদ রপ্তানি নিষিদ্ধকরণ আইন’ প্রণয়ন, পিএসসি প্রক্রিয়া বাতিল করে স্থলভাগে ও সমুদ্রে নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে জাতীয় সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সুযোগ, ক্ষমতা ও বরাদ্দ প্রদান, রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র মেরামত ও নবায়ন, উন্মুক্ত খননপদ্ধতি নিষিদ্ধসহ ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, জাতীয় সক্ষমতার বিকাশ, নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পদের সর্বোত্তম মিশ্রণ ঘটিয়ে একটি জ্বালানি নীতি প্রণয়ন, দীর্ঘ মেয়াদে নবায়নযোগ্য জ্বালানি মূলধারায় নিয়ে আসা ইত্যাদিই যথাযথ পথ। এর মাধ্যমেই দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই, সুলভ, নিরাপদ এবং জনবান্ধব উন্নয়নধারা তৈরি করা সম্ভব। ২০১৭ সালে এ জন্য ‘তেল–গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ–বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’ একটি বিকল্প খসড়া পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছে।

কিন্তু সরকার যাচ্ছে উল্টো পথে, যা ব্যয়বহুল, ঝুঁকিপূর্ণ, বন-পানি-মানুষ-পরিবেশবিধ্বংসী এবং ঋণনির্ভর। এতে কিছু দেশি–বিদেশি গোষ্ঠীর লাভ হলেও দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ভয়াবহ অনিশ্চয়তা, বিপদ ও বিপন্নতার দিকে। এগুলো মানববিধ্বংসী অস্ত্রের মতোই মানুষ ও প্রকৃতিবিধ্বংসী প্রকল্প।

গায়ের জোরে যতই ঢোল পেটানো হোক, দেশকে যা বিপন্ন করে তা উন্নয়ন নয়।

আনু মুহাম্মদ: অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক
anu@juniv.edu

ভালবাসার তত্ত্ব


মোঃ মাহফুজ আহমেদ।


আসুন জেনে নিই কীভাবে বুঝবেন প্রেমিকের আসল ভালোবাসা-

আমি তোমাকে ভালোবাসি

যে আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসবে তার মুখে বলতে কখনও আটকাবে না। সে সবার সামনে বলবে- আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর ভালোবাসার সম্পর্কটা কখনও আড়াল করতে চাইবে না।

সাহায্য-সহযোগিতা

সত্যিকারে প্রেমিক সবসময় আপনার ভালো কাজে উৎসাহ দেবে। সে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে যে কোনো কাজে আপনাকে সাহায্য করার জন্য।

যৌথ ডানার আকাশ

সত্যিকারের প্রেমিক সবসময় আপনাকে নিয়ে ভাববে। আপনার ভালোমন্দ খোঁজখবর নিবে, যা কিছুই করুক না কেন সবসময় আপনাকে জানাবে। সব কিছুর মধ্যে থাকবে আপনার যৌথ অংশগ্রহণ।

ভবিষ্যতের কথা

সত্যিকারের প্রেমিক সবসময় আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববে। বিভিন্ন বিষয় আপনার সঙ্গে শেয়ার করবে। একসঙ্গে জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে।

আপনি থাকবেন প্রেমিকের কাছে রানি

কেউ যদি আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসে তবে আপনি থাকবেন তার কাছে রানি, যে আপনাকে সবসময় গুরুত্ব দেবে।তার কাছে আপনি হয়ে থাকবেন রানি। প্রিন্সেস অব দি ওয়ার্ল্ড।
ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা।বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়, বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে... এমন কি কোনো কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক, অনুমান, এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবণ ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবণ ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে। কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।
# ভালোবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্মক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেওয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা অপেক্ষাকৃত গৌণ বিষয়। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশি গুরুত্ব বহন করে। কল্পনাবিলাসিতার একটি বিশেষ ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালোবাসা। ভালোবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অভিহিত করা যায়।
#বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান ভালবাসাকে টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে দেখায়। মানুষ সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী তাদের জীবনকালের দীর্ঘ সময় পিতামাতার সাহায্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। এই সময়ে ভালবাসা একটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, ভালোবাসা কিভাবে মানব বিবর্তনের দ্বারা গড়ে উঠেছে এর উপর ভিত্তি করে ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা এবং আচরণ নিয়ে আরও গবেষণা করা যেতে পারে।
#ভালোবাসা রোগ (ইংরেজি: Love sickness) কোনো চিকিৎসীয় শিরোনাম নয়, এবং এটি ভালোবাসায় পতিত হওয়াকে মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরিকভাবে ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়।

ঐতিহাসিকভাবে, ভালোবাসা রোগ বলতে বোঝায় ভালোবাসা সংশ্লিষ্ট এক ধরনের মানসিক পীড়া। স্বীকৃত রেনেসা ব্যক্তিত্ত্বরা; উদাহরণস্বরূপ ইবনে সিনাবিষন্নতাকে এই মানসিক পীড়ার প্রথম লক্ষণ হিসেবে দায়ী করেছেন।


ভালবাসার তত্ত্ব


মোঃ মাহফুজ আহমেদ।


আসুন জেনে নিই কীভাবে বুঝবেন প্রেমিকের আসল ভালোবাসা-

আমি তোমাকে ভালোবাসি

যে আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসবে তার মুখে বলতে কখনও আটকাবে না। সে সবার সামনে বলবে- আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর ভালোবাসার সম্পর্কটা কখনও আড়াল করতে চাইবে না।

সাহায্য-সহযোগিতা

সত্যিকারে প্রেমিক সবসময় আপনার ভালো কাজে উৎসাহ দেবে। সে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে যে কোনো কাজে আপনাকে সাহায্য করার জন্য।

যৌথ ডানার আকাশ

সত্যিকারের প্রেমিক সবসময় আপনাকে নিয়ে ভাববে। আপনার ভালোমন্দ খোঁজখবর নিবে, যা কিছুই করুক না কেন সবসময় আপনাকে জানাবে। সব কিছুর মধ্যে থাকবে আপনার যৌথ অংশগ্রহণ।

ভবিষ্যতের কথা

সত্যিকারের প্রেমিক সবসময় আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববে। বিভিন্ন বিষয় আপনার সঙ্গে শেয়ার করবে। একসঙ্গে জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে।

আপনি থাকবেন প্রেমিকের কাছে রানি

কেউ যদি আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসে তবে আপনি থাকবেন তার কাছে রানি, যে আপনাকে সবসময় গুরুত্ব দেবে।তার কাছে আপনি হয়ে থাকবেন রানি। প্রিন্সেস অব দি ওয়ার্ল্ড।
ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা।বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়, বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে... এমন কি কোনো কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক, অনুমান, এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবণ ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবণ ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে। কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।
# ভালোবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্মক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেওয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা অপেক্ষাকৃত গৌণ বিষয়। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশি গুরুত্ব বহন করে। কল্পনাবিলাসিতার একটি বিশেষ ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালোবাসা। ভালোবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অভিহিত করা যায়।
#বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান ভালবাসাকে টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে দেখায়। মানুষ সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী তাদের জীবনকালের দীর্ঘ সময় পিতামাতার সাহায্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। এই সময়ে ভালবাসা একটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, ভালোবাসা কিভাবে মানব বিবর্তনের দ্বারা গড়ে উঠেছে এর উপর ভিত্তি করে ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা এবং আচরণ নিয়ে আরও গবেষণা করা যেতে পারে।
#ভালোবাসা রোগ (ইংরেজি: Love sickness) কোনো চিকিৎসীয় শিরোনাম নয়, এবং এটি ভালোবাসায় পতিত হওয়াকে মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরিকভাবে ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়।

ঐতিহাসিকভাবে, ভালোবাসা রোগ বলতে বোঝায় ভালোবাসা সংশ্লিষ্ট এক ধরনের মানসিক পীড়া। স্বীকৃত রেনেসা ব্যক্তিত্ত্বরা; উদাহরণস্বরূপ ইবনে সিনাবিষন্নতাকে এই মানসিক পীড়ার প্রথম লক্ষণ হিসেবে দায়ী করেছেন।

হে বসন্ত প্রিয় পরি


         তোমার অপেক্ষায় আজও, হে বসন্ত প্রিয় পর।
                   মো মাহফুজ আহমেদ
তুমি আসবে বলে আজ, এসেছে বসন্ত,
আকাশে মেলিয়া আঁখি তবুও ফুটেছে জবা, দুরন্ত শিমুল গাছে গাছে, তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্তপথিক।’ পুরো বাংলাই আজ যেন তাই। এতদিন ধরে যার অপেক্ষা, সেই বসন্ত আজ সমাগত। আজ যে পহেলা ফাগুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন।
তুমি আসবে বলে আমি জেগেছি নিশি,  আর গুনেছি দিন।

Saturday, February 9, 2019

রাতে ভাত খাওয়ার পর যে ৭ টি কাজ আপনার মৃত্যু ডেকে আনতে পারে; পরিত্যাগ করুন এই কাজগুলোভাত খাওয়ার পর যে ৭ টি কাজ একেবারে করতে মানা।

                    মো মাহফুজ আহমেদ
        _____<<<<____>>>>______<<<<______
 ১) ধুমপান করবেন না। করছেন তো মরছেন। আপনি সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলেও যতটুকু না ক্ষতি করবে, তার চাইতে অনেক বেশী ক্ষতি করবে যদি ভাত খাবার পর একটা সিগারেট খান।
ভাত খাবার পর একটা সিগারেট খাওয়া আর সার্বিকভাবে দশটা সিগারেট খাওয়া ক্ষতির দিক দিয়ে সমান অর্থ বহন করে। যারা নিয়মিত সিগারেট খান তারা জানেন ভাত খাবার পর তাৎক্ষনিকভাবে সিগারেট খেলে কি ধরনের ফিলিংস আসে। যত বেশী ফিলিংস তত বেশী ক্ষতি।
২) খাবার শেষ করার পর পরই তাৎক্ষণিক ভাবে কোন ফল খাবেন না। গ্যাস ফর্ম করতে পারে। খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর, কিংবা এক ঘন্টা আগে ফল খাবেন।
৩) চা খাবেন না। চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমানে টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তুলে যার ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে।
৪) বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর লুস করবেন না। খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর লুস করলে অতি সহজেই ইন্টেসটাইন (পাকস্থলি থেকে মলদ্বার পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ ) বেকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে। যাকে বলেইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন।
৫) স্নান করবেন না! ভাত খাবার পরপরই স্নান করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়! ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা শরীরের পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে, ফলে খাদ্য হজম হতে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী লাগবে।
৬) ঘুমোতে যাবেন না। এটা অবশ্য আমরা সবাই ই কমবেশী জানি যে, ভাত খেয়েই ঘুমোতে যাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে খাদ্য ভালোভাবে হজম হয় না। ফলে গ্যাস্ট্রিক এবং ইন্টেস্টাইনে ইনফেকশন হয়!
 ৭) হাটা চলা করবেন না! অনেকেই বলে থাকেন যে, খাবার পর ১০০ কদম হাটা মানে আয়ু ১০০ দিন বাড়িয়ে ফেলা! কিন্তু আসলে বিষয়টা পুরোপুরি সত্য নয়।খাবার পর হাটা উচিত, তবে অবশ্যই সেটা খাবার শেষ করেই তাৎক্ষণিকভাবে নয়। কারণ এতে করে আমাদের শরীরের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষনে অক্ষম হয়ে পড়ে। তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত।




সূর্য ডোবার খেলা

 সূর্য   ডোবার খেলা  এস_আর_শহীদ সাগর আকাশ মিলেছে যেখানে  রং ধনু সাত রং খুঁজে পাই সেখানে।।  সূর্য ডোবার খেলা দেখি দু'নয়নে কি দারুণ সুখে ন...