Search This Blog

Wednesday, April 24, 2019

স্বপনের কুড়িগ্রাম

(সংকলন)

মোঃ মাহফুজ আহমেদ।

কে বলে আমাদের কুড়িগ্রাম এর মানুষ চিন্তা ভাবনায় পিছিয়ে?আজ যে স্বপন ভাই এর কথা লিখছি এরকম আরো অনেক স্বপন ভাই আছে আমাদের কুড়িগ্রামে। একদিন তারা ঠিক ই পথ দেখাবে অন্যদের।

*********************************************

অগ্নিকান্ড, ভূমিকম্প ও জলবায়ু নিয়ে এক যুবকের স্বপ্ন নাম সাখাওয়াত হোসেন স্বপন। গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার এক প্রত্যন্ত  গ্রাম মংলারকুটিতে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে লেখা-পড়া করা অবস্থায় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অধীনে আরবান কমিনিউনিটি ভলান্টিয়ার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন ২০১১ সালে। তারপর কম্প্রেহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম-এর প্রশিক্ষক হিসেবে পুনরায় ফায়ার সার্ভিস থেকে ‘ট্রেইনিং অব ট্রেইনার্স’ কোর্সে অংশ নেন এবং সফলতার সাথে কোর্স সম্পন্ন করে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সিডিএমপি সেলে। তাজরিন ফ্যাশনের অগ্নিকা-ে আগুন নেভানো এবং উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের সাথে ছিলেন তিনি। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের ভলান্টিয়ার লিডার হিসেবে উদ্ধার কাজেও ছিলেন সাখাওয়াত স্বপন। এরপর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউএনডিপি-চীন-এর অর্থায়নে চীনের বেইজিং-এ ‘কমিউনিটি বেজড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ইন এশিয়া’ নামক ওয়ার্কশপ করে এসেছেন। সা¤প্রতিক তিনি ‘সেফটি স্কুল’ নামে একটি সংগঠন চালু করেছেন। তার কথা অনুযায়ী সেফটি স্কুল এক ধরনের সামাজিক আন্দোলন, যার মাধ্যমে তিনি দেশের মানুষের মধ্যে অগ্নিকা-, ভূমিকম্প ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অগ্নিকা- ও ভূমিকম্প নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স গুরু দায়িত্ব পালন করে থাকে, যেখানে তাদের কাজ করতে হয় মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে। এজন্য তাদের প্রতি সবসময় দেশবাসীর সম্মান ও শ্রদ্ধা কামনা করেন তিনি। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর লোকবল যথেষ্ট নয়। লোকবল বৃদ্ধি করে স্টেশন বৃদ্ধি করা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তাদের সুবিধা বাড়িয়ে দেয়া এখন সময়ের দাবি।      যে কোনো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পোশাক শিল্প অথবা অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন তাকে ডাকলেই তিনি চলে যান এবং কথা বলেন অগ্নিকা-, ভূমিকম্প ও জলবায়ু নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, ক্রিটিক্যালিংক, ভুলতা সমবায় মার্কেট, বছিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মডেল লাইভ স্টক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিনি এসব বিষয়ে ওয়ার্কশপ করিয়েছেন। নিজ জেলা কুড়িগ্রামের কয়েকটি স্কুল ও কলেজে এসব বিষয়ে কথা বলেছেন। গিয়েছিলেন বলদিয়া হাই স্কুল, বলদিয়া ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় এবং শাহীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন অগ্নিকা-ের কারণ, অগ্নিকা-ে করণীয়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনা নিয়ে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ক্লাবে। আলোচনা করেন অগ্নিকা- ও ভূমিকম্প নিয়ে। তিনি জানান, জাইকা’র গবেষণা অনুযায়ী ঢাকায় ৭ মাত্রার অধিক মাত্রায় ভূমিকম্প হলে প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে, বিশ্লেষক ও গবেষকদের মতে, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হবার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই দেশের মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করে তোলা খুবই জরুরি এবং এ লক্ষ্যে তাঁর ‘সেফটি স্কুল’ কাজ করে যাচ্ছে যার স্লোগান হচ্ছে safety first, safety must, যেখানে তার সাথে কাজ করছেন প্রায় ১৫ জন প্রশিক্ষিত যুবক-যুবতী। সরকারি-বেসরকারি সুযোগ ও সহযোগিতা পেলে তিনি যেতে চান দেশের সব শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে, কথা বলতে চান অগ্নিকান্ড, ভূমিকম্প ও জলবায়ু নিয়ে। সাখাওয়াত স্বপন স্বপ্ন দেখেন একটি নিরাপদ বাংলাদেশের, তিনি বলেন তাঁর সাথে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন ইমেইল shakhawat2511@gmail.com অথবা safety school-Gi Awdwmqvj page -এ।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে নেয়া
আমি ক্লাস ফোরে তখন, নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে হুমায়ুন আহমেদের ৪২০পৃষ্ঠার কিশোর সমগ্র বইটা হাতে আসে। ওটাই প্রথম। 'বোতল ভূত' দিয়ে আমার গল্পের জগতে প্রবেশ, সাতদিনে নাওয়া-খাওয়া ভুলে ৪২০পৃষ্ঠা শেষ করেছিলাম।
আমার বইপড়া এভাবেই শুরু হয়। পাঠ্যবইয়ের প্রতি নেশা কোনকালেই ছিল না, আমি বরাবরই ব্যাকবেঞ্চের ছাত্র ছিলাম। এসএসসিতে ম্যাথে পাশ করেছি অংক মুখস্থ করে, বোঝেন তাহলে!

হাতের কাছে যা পেতাম পড়তাম, কাগজের ঠোঙা ছিড়ে ভেতরে কি লেখা পড়তাম, রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া কাগজ পর্যন্ত পড়ে ফেলতাম। সেলুনে চুল কাটতে গিয়ে সিরিয়ালে বসে থাকতে থাকতে একদিন হঠাৎ করে হাতের কাছে মাসখানেক পুরোনো একটা পত্রিকা পেলাম। সেবারই প্রথম পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, আরে বই পড়ে তো শুধু আনন্দই নয় সময়ও কাটে!!

এসব ক্লাস সিক্স-সেভেনের গল্প। আমাদের সময় ঐ বয়সে কারো হাতে টাকা থাকত না। আমার বেলাতেও তাই। এদিকে বাড়ি থেকে কড়া নির্দেশ ভাল করে পড়তে হবে, ক্লাস এইটে বৃত্তি পেতে হবে। সো বাপে সোহাগ করে বই কিনে দেবে সে সম্ভাবনাও নেই। আমার বেড়ে ওঠা তো মফস্বলে, সুতরাং মধ্য-শিক্ষিত বাবা-মা পাঠ্যবইয়ের বাইরে ছেলেকে আর কোন বই পড়তে দেয়ার কথা নয়।

অগত্যা শুরু করলাম বই চুরি করা। আপুর আর দুই মামার আর খালার বাড়ি থেকে যে পরিমাণ বই আমি চুরি করেছি তার হিসেব নাই।
আমি যখন ক্লাস এইটে, আপু তখন ডিগ্রীতে পড়ে। ডিগ্রীর সিলেবাসে কিছু বাংলা উপন্যাস, গল্প ছিল। আমি সেই বয়সেই সেসব গিলে খেয়েছি।

এভাবে বই চুরি করতে গিয়ে একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল। আমি তখন ক্লাস সেভেন অথবা এইটে পড়ি। কোন এক ব্যক্তির কাছে তার লাইব্রেরীতে অনেক অযত্নে পড়ে থাকা কিছু বই চাই। উনি বেশ আনন্দচিত্তেই আমায় বই নিতে অনুমতি দেন।
আমার পরিকল্পনা ছিল পাঁচটার কথা বলে অন্তত সাত-আটটা বই মেরে দিব, আর কোনদিন ফেরত দিব না।
আবছা আলোয় সেদিন আমি "শৃঙ্গার" নামের একটা বই মেরে দিয়েছিলাম। অত্যন্ত আকর্ষনীয় কভারের কারণে প্রথমে সেটিই শেষ করি।
আমার লেভেলটা বুঝতে পারছেন? ক্লাস সেভেন-এইটেই আমার হায়ার লেভেলের সেক্স এডুকেশন হয়ে গেছে 😂

এসএসসি পরীক্ষার সময় সবাই যখন এক নিঃশ্বাসে কয়েক পাতা করে পড়ছে,  আমি তখন এসএসসির একমাসে হলুদ হিমু কালো র‍্যাব, সাতকাহন শেষ করেছি। সেটাও অভিনব কায়দায়, ধরা পড়ার ভয়ে গল্পের বই কেটে টেস্ট পেপারের ভেতরে রেখে রেখে পড়েছি।

আমার শৈশব কেটেছে মাত্রাতিরিক্ত শাসনে। এলাকার পরিবেশ ভাল ছিল না। আমার অনেক বন্ধুরা সেসময়েই সিগারেট খেত। বিকেলে খেলতে যেতে দেয়া হত না। আব্বু-আম্মু কোথাও গেলে গেটে তালা লাগিয়ে যেত।
আমায় বাধ্য হয়ে বইয়ের জগতে ডুব দিতে হয়েছে, বই'ই আমার বন্ধু, প্রেমিকা হয়েছে।
আমি বইয়ে ডুব দিতে পারি, চরিত্রে সাথে মিশে যেতে পারি খুব সহজেই।
আব্বু-আম্মুকে ধন্যবাদ, তারা এত কড়া না হলে আমার বই পড়ার নেশা কখনই এতটা প্রবল হত না।

আমি এখন বইয়ের জগতে বাস করি। আমি ঢাকায় যে রুমটায় থাকি সেখানে তিনজন থাকার কথা, আমরা দুইজন থাকি। আমি একা দুইজনের ভাড়া দেই। কারণ আমার সাথে আমার বইয়েরাও থাকে। দেড় হাজার বই।
আমি তিনদিনের জন্য বাড়ি গেলেও আমার কাঁধে একটা ব্যাগ আর হাতে একটা ব্যাগ থাকে। হাতের ব্যাগটায় সিলেকটেড কিছু বই সবসময় থাকে। এই বইগুলো ছাড়া আমার ঘুম আসে না।
আমি বেড়াতে গেলেও আমি বই সাথে নিয়ে যাই।

আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে বর্তমান জীবনে যারা আমার ভাই-বন্ধু, আত্মার আত্মীয় হয়ে উঠেছেন তাদের প্রত্যেকের সাথে আমার সম্পর্ক শুরুই হয়েছে বই দিয়ে।
আমাদের প্রতিটি আলাপে কোথাও না কোথাও পড়াশুনা থাকেই। তাদের সাথে একদিন আড্ডা দেয়া মানে পেটভর্তি জ্ঞান নিয়ে ঘরে ফেরা।
তাদের কেউ গনহত্যা, কেউ মুক্তিযুদ্ধ, কেউ পৃথিবীর বহুবিধ ধর্ম নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেন।
বইমেলা আসা মানে আমাদের ঈদ চলে আসা।

আজ বিশ্ব বই দিবস।
আরিফ রহমান ভাই তার বই দিবসের পোস্টে আমায় ট্যাগ করে বইপড়া নিয়ে অভিজ্ঞতা লিখতে বললেন।
আমি লিখতে বসে দেখলাম কয়েকটা পার্ট লেখা যাবে। শেষ হবে না।

আপনিও লিখুন। আপনার পাঠক হয়ে ওঠার গল্প। আমি ১০জন বন্ধুকে ট্যাগ দিচ্ছি, যারা বই পড়েন। আপনারা নিজেদের পাঠক হয়ে ওঠার গল্প নিজ নিজ ওয়ালে পোস্ট করুন।

Monday, April 15, 2019

জরুরী কিছু তথ্য

রডের ওজন
মোঃ মাহফুজ আহমেদ।
৮ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১২০ কেজি।
১০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১৮৮ কেজি।
১২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.২৭০৬ কেজি।
১৬ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৪৮১২ কেজি।
২০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৭৫১৮ কেজি।
২২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৯০৯৭ কেজি।
২৫ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন =১.১৭৪৭ কেজি।
উপরে যে কনভার্ট সিস্টেম দেয়া হয়েছে, এর প্রতিটি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে বাস্তবে কাজ করা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেমে রডের আন্তর্জাতিক হিসাব করা হয় kg/m এ।আবার বাংলাদেশে সাধারন লেবারদের সাথে কাজ করার সময় এই হিসাব জানা একান্তই
জরুরী এছাড়া ও নিম্নোক্ত বিষয় টিও জেনে রাখুন . . . .
8 mm -7 feet -1 kg
10 mm -5 feet -1 kg
12 mm -3.75 feet – 1 kg
16 mm -2.15feet -1kg
20 mm -1.80feet -1kg
22mm -1.1feet -1kg
রডের মাপ ফিট মেপে kg বের করা হয় ………
এই সুত্রটি মনে রাখুন ( রডের ডায়া^2 / 531,36 ) যেকোনো ডায়া রডের এক ফিটের ওজন বাহির হবে . এখানে অবশ্যই রডের ডায়া মিলি মিটারে উল্লেখ করতে হবে।

সূর্য ডোবার খেলা

 সূর্য   ডোবার খেলা  এস_আর_শহীদ সাগর আকাশ মিলেছে যেখানে  রং ধনু সাত রং খুঁজে পাই সেখানে।।  সূর্য ডোবার খেলা দেখি দু'নয়নে কি দারুণ সুখে ন...