একজন সাহসী সাংবাদিক ও তার অসহায়ত্ব’’
বাদশা সৈকত
বর্তমানে বৈশাখী টেলিভিশন, মানব কন্ঠ ও ডেইলী অবজারভার পত্রিকায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতায় কাজ করার অবদান স্বরুপ তাকে দেয়া হয়েছে সাংবাদিকতায় কৃর্তীমতী নারী ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সেরা জয়ীতার পুরস্কার। এবছরের শীর্ষ ১০ অনন্যান একজন নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এই সাহসী ও মানবপ্রেমী সাংবাদিক গত দুই সপ্তাহ ধরে মেরুদন্ড, ঘাড় ও ডান হাতের ব্যথা নিয়ে তীব্র যন্ত্রণার সময় পাড় করছেন। বর্তমানে তিনি রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে নিউরোলজিস্ট ড. তোফায়েল হোসেন এর তত্বাবধানে ৯০৩ নাম্বার কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। তাকে ট্রাকশন দিয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক বলেছে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিতে হবে। সেজন্য অনেক টাকারও প্রয়োজন হতে পারে।
মানব দরদী এই সাংবাদিক আজ থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে কয়েকটি অসহায় হতদরিদ্র পরিবারকে গরু কিনে দেয়ার জন্য তার আরেক সহকর্মী সাংবাদিক ফজলে ইলাহী স্বপনকে সাথে নিয়ে গরু কিনতে গিয়েছিলেন। সে সময় নদী পাড়ের বাঁধের রাস্তা ধরে মোটর সাইকেলে যাওয়ার সময় এক্সিডেন্টে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাঁধ রাস্তায় গড়াগড়ি খেতে খেতে উপর থেকে নীচে পড়ে যান। সে সময়ই মেরুদন্ডে ব্যথা পান তিনি। পরে বিভিন্ন চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থতার সময় পাড় করেন। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখের দিকে ব্যথা আবারো বাড়তে থাকে। আবারো কুড়িগ্রামে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষুধ খান কিন্তু তাতে কোন কাজ হয় না। পরে শরণাপন্ন হন রংপুরের চিকিৎসদের নিকট। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। বর্তমানে মেরুদন্ডের তীব্র ব্যথা নিয়ে ডক্টরস ক্লিনিকে একাকিত্ব সময় পাড় করছেন তিনি।
লাইলী বেগম আক্ষেপ করে বলেন, সুস্থতার সময়ে অনেকেই তার সাথে ভালো বন্ধুর মতো আচরন করলেও অসুস্থ হওয়ার পর কেহই তেমন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। পাশ কাটিয়ে চলছেন ঘনিষ্ট চিকিৎসকসহ ফেসবুকের বন্ধুরাও।
আমি এই সাহসী সাংবাদিক ও আমার সহকর্মী লাইলী বেগমের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। যাতে করে তিনি সুস্থ হয়ে আবারো দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাংবাদিকতায় নিজের স্বাবলিল উপস্থিতিসহ জেলার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন।
No comments:
Post a Comment