৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়লে ২ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা খতিব সাহেবের
কওমিকণ্ঠ জানুয়ারি ২০, ২০১৯কওমি নিউজ, টপ স্টোরিজ, ধর্ম, বিশেষ সংবাদ
হোছাইন আহমাদ আযমী : ৪০ দিন নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়লে ২০০০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মুসল্লিদেরকে। ৯ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের জন্য এই অফার দেয়া হয়েছে। নামাজের অভ্যাস তৈরির স্বার্থেই তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন কোতালেরবাগ মধ্যপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাহদি সাহেব গত শুক্রবার জুমার বয়ানে এই ঘোষণা দেন।
জুমার পর মুসল্লিদের মাঝে উদ্যোগটি নিয়ে বেশ প্রশংসাবাক্য বলতে শুনা যায়। যদি মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধিকল্পে তিনি দাওয়াতে তাবলীগের মেহনতের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্যাগ গ্রহণ করে থাকেন। এই ঘোষণাটি তারই ধারাবাহিতা মাত্র।
হুজুররা দান করেনা, ছিদ্রান্বেষীদের এটা একটা বড় অস্ত্র। হুজুররা প্রকাশ্যে দান করেন না বিধায়ই তাদের সম্পর্কে এমন কথা বলার সুযোগ পায় ওরা। তবে অনুস্বরণীয়রা মাঝে মাঝে তাদের ভাল কাজগুলো প্রকাশ্যে করা উচিত। যাতে করে তাদের ফ্যানরাও এ কাজে ব্রতি হতে পারে। খতিব সাহেব সেই কাজটিই করলেন। যখন মসজিদের জন্য টাকা উত্তোলন হচ্ছিল তখন তিনি পকেট থেকে সর্বোচ্চ টাকার নোটটি দানের থলিতে প্রদান করলেন। এতে হুজুরদের প্রতি অপবাদ প্রদানকারীদের জবাবের পাশাপাশি অনেকের জন্য পাথেয় হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন কোতালেরবাগ মধ্যপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাহদি সাহেব জুমার বয়ানে এই ঘোষনা দিলেন। তিনি ব্যাক্তিগত অর্থায়নেই এই টাকা প্রদান করবেন করবেন বলে সবাইকে জানালেন।
আলিরটেক ডিক্রিরচরে জন্ম নেয়া আলোচিত এই খতিব সাহেব ২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জ হাজীপাড়া মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদীস ও মিরপুর ১০ এর জামিয়া ইসলামিয়ায় ইফতা কোর্স কমপ্লিট করলেও ২০১৫ সাল থেকে এই মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব গ্রহনের প্রথম বছরেই সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে ফতুল্লা থানার ৪০ টি মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনদের নিয়ে তিনি গঠন করেছেন, উলামা ঐক্য পরিষদ। সমাজের মানুষের মাঝে ধর্মীয় সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুস্থদের মাঝে ত্রাণ ও অনুদান বিতরণের মাধ্যমে দারিদ্রতা বিমোচন এই সংগঠনের অন্যতম লক্ষ্য।
এই শীতের দিনে প্রত্যেক ইমাম সাহেব তার মুসল্লিদের মাঝে থাকা কয়েকজন অভাবগ্রস্থ দুস্থ মানুষকে অনুদান কার্ড প্রদান করবেন। তারা সেই কার্ড নিয়ে পরিষদের আয়োজিত মাহফিলে উপস্থিত হয়ে তাদের জন্য বরাদ্দ গ্রহন করে থাকে। এছাড়াও মাসে একদিন ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি মসজিদে নামাজ শুদ্ধ করণের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। চলমান ইস্যু নিয়েও সংগঠনটি সকল আলেম উলামাদের মতামতের ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।
WELL_DONE
ReplyDelete