লিপস্টিক দেওয়ার কথা বলে ডেকে...

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে গ্রেপ্তার করা যুবকদের দেওয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে এ কথা জানান পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিসি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, আজিজুল বাওয়ানী সম্পর্কে মোস্তফার মামাতো ভাই। তাঁরা দুজন মিলে দুই শিশুকে ধর্ষণের ফন্দি আঁটেন। ঘরে নেওয়ার পর প্রথমে নুসরাত ও দোলাকে তাঁরা সাজিয়ে দেন। এর পর মোস্তফা ও আজিজুল মিলে ইয়াবা সেবন করে দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। দুই শিশু যখন চিৎকার করছিল, তখন মোস্তফা ও আজিজুল সাউন্ডবক্সে উচ্চ স্বরে গান চালিয়ে দেন। একপর্যায়ে দোলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আজিজুল। এরপর নুসরাতকে গামছার ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন মোস্তফা।
শিশু দুটির বাসার পাশেই গোলাম মোস্তফার ফ্ল্যাট। সেখানে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে সাবলেট থাকতেন। মোস্তফা পেশায় পোশাকশ্রমিক।
সোমবার দুপুর থেকেই এই দুই শিশু নিখোঁজ ছিল। নিহত দোলার চাচা রাশেদুল ইসলামের ভাষ্য, দুপুরের পর থেকে শিশু দুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজি শেষে তাদের না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। যখন মাইকিং করা হচ্ছিল, তখন এলাকার এক যুবক তাঁদের জানান, মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে দুপুরের পর শিশু দুটিকে ডেকে তাঁর ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। ওই যুবকের কাছ থেকে এ কথা জানতে পেরে মোস্তফার খালা সেই ফ্ল্যাটে যান। সেখানে তিনি শিশু দুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় মোস্তফা যাতে ঘর থেকে বের হতে না পারেন, সে জন্য তিনি (খালা) বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। তবে লোকজন এসে মোস্তফাকে ঘরে পাননি।
নিহত শিশু ফারিয়া আক্তার দোলার বাবা ফরিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন শিশু দুটিকে হত্যা করা হলো, এর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। মোস্তফার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। নিহত আরেক শিশু নুসরাতের পরিবারের সঙ্গেও আমাদের কোনো আলাপ ছিল না।’
No comments:
Post a Comment